ফুরিয়ে আসছে গ্যাসের মজুদ
নিউজ ডেস্ক : ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাসের জাতীয় মজুদ। তাই ধীরে-ধীরে জটিল আকার ধারণ করছে গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থা। গ্যাস অনুসন্ধানে সরকার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা দাবি করে জ্বালানি খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন- খুব দ্রুত স্থলভাগ এবং বঙ্গোপসাগরে গ্যাসের অনুসন্ধান চালাতে হবে।
একই সাথে ভবিষ্যৎ ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারকে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পরিচয় দিয়ে, অনুসন্ধান ব্যবস্থাপনার ত্রুটি দূর করার তাগিদও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাস- ২০১৮ সালের মধ্যে আমদানিকৃত এলএনজি দেশে এলে সংকট কেটে যাবে অনেকাংশেই।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে কারিগরি জটিলতার কবলে ভয়াবহ দুর্ভোগে দিনে কেটেছে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারকারী নগরবাসীদের। অবস্থা এতোটাই নাজুক ছিলো যে নাওয়া-খাওয়াও বন্ধ হচ্ছিলো প্রায়। কারিগরি জটিলতায় গ্যাস সংকটের ওই ক’দিন প্রায় প্রত্যেকটি খাতেই থমকে যাচ্ছিলো বাংলাদেশ। যদিও, উৎপাদন হয়েছে যথারীতি।
জ্বালানি বিভাগের তথ্যমতে- দেশের মোট প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ২৭.১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট ধরে এরই মধ্যে ব্যবহৃত হয়েছে ১৩.০৩২ টিসিএফ। মজুদ আছে আর মাত্র ১৪.০৮৮ টিসিএফ।
দেশে ঘন-ঘন গ্যাস সংকটের কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন- নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান না করে সীমিত মজুদ থেকে অধিক ব্যবহারেই ঘনীভূত হচ্ছে জটিলতা। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে যে গ্যাস অনুসন্ধান প্রক্রিয়া তা অত্যন্ত ধীর গতিতে হচ্ছে।’ অপরদিকে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, ‘বাপেক্স যে অনুসন্ধান করেছে সেটি খুবই নগণ্য। গ্যাস অনুসন্ধান বলতে যা বোঝায় প্রকৃতপক্ষে তা হয় নি।’
তাদের মতে- ভবিষ্যৎ উন্নয়ন বিবেচনায় দ্রুত বঙ্গোপসাগরে এবং স্থলভাগে অনুসন্ধান চালানোর পাশাপাশি প্রয়োজন- রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও স্বচ্ছতা।
তবে, গ্যাসের তীব্র সংকট দূর হতে দেশবাসীকে আরো বছর দু’য়েক অপেক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গ্যাসের অবস্থার উন্নতির জন্য আমরা তিন ধরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছি।’