১৫ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া
নিউজ ডেস্ক : আগামী তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। এ বিষয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দুই দেশ চুক্তিতে সই করবে এবং এর পর আনুষ্ঠানিকভাবে লোকবল পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, জনশক্তি রপ্তানিকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তালিকাভুক্ত করেছে মালয়েশিয়া। তারা নারী ও পুরুষ কর্মী নেবে। এছাড়া এবার মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে বেসরকারি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজকে (বায়রা) যুক্ত করা হয়েছে।
সচিব বলেন, ‘মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে জিটুজি (সরকারি পর্যায়ে) প্লাস প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে প্রণীত সমঝোতা স্মারকের খসড়া অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, এর আগে একটি চুক্তি হয়েছিল জিটুজি। সেটা সফল হয়নি। ফলে জিটুজি প্লাস করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় যেতে একজন শ্রমিকের সর্বসাকল্যে খরচ পড়বে ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার টাকার মতো। বিমান ভাড়া, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও এ-সংক্রান্ত সব খরচ বহন করবে নিয়োগকর্তা। মালয়েশিয়ার নিয়োগ প্রতিষ্ঠান তাদের চাহিদাপত্র দেশটির সরকারের কাছে জমা দেবে। সেই চাহিদাপত্র মালয়েশিয়া দেবে বাংলাদেশি দূতাবাসে যাচাই-বাছাই করার জন্য। এর পর বাংলাদেশের বিএমইটি (জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) থেকে তথ্য নেবে বায়রা। বায়রার কাজ হবে ভিসা প্রসেসিং, বায়োমেট্রিক লেবার কার্ড, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন আইন, ২০১৬-এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।