এ বছর একুশে পদক পেলেন ১৬জন
নিউজ ডেস্ক : এ বছর দেশের ১৬ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক ‘একুশে পদক’ পেয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাদের এ পদক দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া (মরণোত্তর), ডা. সাইদ হায়দার ও ড. জসীম উদ্দিন আহমেদ একুশে পদক পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন মফিদুল হক। সাংবাদিকতায় এ পদক পেয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান। ভাষা ও সাহিত্যে জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, অধ্যাপক ড. হায়াৎ মামুদ ও হাবীবুল্লাহ সিরাজী এবার একুশে পদক পেয়েছেন। শিল্পকলায় জাহানারা আহমেদ (টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনয়), পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী (শাস্ত্রীয় সংগীত), শাহীন সামাদ (সংগীত), আমানুল হক (নৃত্য) পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া শিল্পকলায় কাজী আনোয়ার হোসেন (চিত্রকলা) মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন। গবেষণায় একুশে পদক পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এবং মংছেন চীং মংছিন।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে একুশে পদক তুলে দেবেন। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নাগরিকদের দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ এক লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। তবে এবার অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ করে দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।