কালকের পরেই অনিবন্ধিত সিম বন্ধ
- নিউজ ডেস্ক
নির্ধারিত সময়ের পর অনিবন্ধিত সিম বন্ধে দুই দিনের বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, “গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি ২০ লাখ সিমের মধ্যে গত শনিবার নাগাদ ১০ কোটি ৯ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে।”
এ হিসাবে গ্রাহকের হাতে থাকা তিন কোটির বেশি সিম এখনও অনিবন্ধিত রয়েছে। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত সিম পুনঃনিবন্ধন করা যাবে। জিরো আওয়ার থেকে অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করার ঘোষণা রয়েছে। জিরো আওয়ারে অনিবন্ধিত সিম বন্ধের প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অপারেটর এয়ারটেলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিডি শর্মা জানান, নির্ধারিত সময়ে অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করার সব ধরনের কারিগরি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, অনিবন্ধিত সিম বন্ধের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, এ প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা থাকবে না। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে অনিবন্ধিত সিমের সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।
বৈঠকে উপস্থিত মোবাইল ফোন অপারেটরদের একাধিক ঊর্ধ্ববতন কর্মকর্তা জানান, জিরো আওয়ার থেকে অনিবন্ধিত সিম বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হবে; তবে জিরো আওয়ারেই অনিবন্ধিত সব সিম একত্রে বন্ধ করা সম্ভব হবে না, এজন্য অনিবন্ধিত সিমের সংখ্যার উপর অপারেটরদের অনিবন্ধিত সিমের সংখ্যা অনুযায়ী এক থেকে দুই দিন সময় লেগে যেতে পারে।
গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দেশের প্রথম অবস্থানে থাকা অপারেটরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের এখনও প্রায় এক কোটির মত সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন হয়নি। এ সংখ্যা হয়তো আগামী ৩১ মে নাগাদ কিছুটা কমতে পারে।”
অনিবন্ধিত সিমগুলো বন্ধ করতে দুই দিনের বেশি সময় লেগে যেতে পারে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। গত ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আঙ্গুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন।