ডিজিটাইজেশনের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আর্থিক খাত ও গোপনীয় বিষয়ের নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক সম্মেলন সিটি, বসুন্ধরায় ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
“এর আওতায় বাংলাদেশে বিশ্বমানের ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন, সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি গঠন, সাইবার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিম প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চ পর্যায়ের ডিজিটাল সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠন করা হবে।” ‘ননস্টপ বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকায় চতুর্থবারের মতো শুরু হয়েছে তিন দিনের তথ্যপ্রযুক্তির উৎসব ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’। এতে দেশি, বিদেশি ও সরকারি ৪০০টি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলায় মাইক্রোসফট, ফেইসবুক, একসেন্সার, বিশ্ব ব্যাংক, জেডটিই, হুয়াওয়েসহ খ্যাতিমান তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৪৩ জন বিদেশি বক্তা নিয়ে দুই শতাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন পর্বে অংশ নেবেন। মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নেবেন সাত দেশের সাত মন্ত্রী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উড্ডয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ২০১৭ সালে এর যাত্রা শুরুর পর নিজস্ব চাহিদা পূরণের সাথে সাথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করতে পারব।” আগামী বছরের মধ্যে চতুর্থ জেনারেশনের (ফোরজি) ইন্টারনেট সেবাও চালু করা হবে বলে জানান সরকার প্রধান।
২০১৮ সালের মধ্যে দেশের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। ইইএফ চালু করাসহ তথ্য-প্রযুক্তি খাতের কোম্পানির জন্য সহজ ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তহবিল গঠনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি। ছাড়া দেশীয় উৎপাদকদের উৎসাহ দিতে বিদেশ থেকে কম্পিউটার আমদানির উপর শুল্ক আরোপেরও প্রস্তাব করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড উদ্বোধনের পর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। সূত্র : বিডি নিউজ
Sharing is caring!