‘বিত্তবানদের সম্পদে শিক্ষাকর বসানো হোক’
- নিউজ ডেস্ক
শিক্ষা খাতের বরাদ্দ বাড়াতে বিত্তবানদের সম্পদের ওপর শিক্ষাকর আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও আগামীর ভাবনা নিয়ে এজেন্ডা ২০৩০ : শিক্ষার নতুন দিগন্ত শীর্ষক এক সভায় তিনি এ পরামর্শ দিয়েছেন।
গণসাক্ষরতা অভিযান এবং এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ প্রমুখ।
সভায় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ খুবই কম। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) মাত্র ২ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিত্তবানদের শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য কর দিতে হবে। বিত্তবানদের ওপর শিক্ষাকর আরোপের সুযোগ আছে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের ক্রেডিট কার্ডের ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে শিক্ষাকর আরোপ করা যেতে পারে। আবার যারা বিমানে যাতায়াত করেন, তাদের বিমানের টিকিটের ওপর শিক্ষাকর আরোপের সুযোগ আছে। সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলকে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। সভায় দেশের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন শেষ করার পর ৪০ শতাংশ বেকার থেকে যাচ্ছে। এই ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী কি শিক্ষা পেল, যে তারা কোনো কাজ পেল না। বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমরা প্রচণ্ড চাপে আছি। নানা ধরনের বার্গেনিং (দেনদরবার) আছে। যে রিসোর্স (সম্পদ) আমাদের হাতে আছে এগুলোর ওপর এত চাপ বিভিন্ন মহল থেকে, সেগুলো যে কোনো রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে মোকাবেলা করা কষ্টকর। নানা ধরনের বিভিন্ন মহল থেকে চাপ থাকে, এগুলো সম্বন্ধে আমি আশা করব, আপনারা বিশেষ করে সিভিল সোসাইটি (সুশীল সমাজ) সোচ্চার হবেন যে ব্যয়টা কোথায় হচ্ছে।