বিসিএসের খাতা ২ পরীক্ষক দিয়ে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত
- নিউজ ডেস্ক
রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অনুযায়ী ৩৮তম বিসিএস থেকে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র দুইজন পরীক্ষক দিয়ে মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিষয়টি সম্পর্কে পরীক্ষক, প্রশ্নকারকসহ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এই প্রথম একটি ওয়ার্কশপ করেছে পিএসসি।
এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ৩৮তম বিসিএস থেকে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র দুইজন পরীক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করা হবে। এ জন্য এই প্রথমবারের মতো সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করা হয়েছে। আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে কিন্তু আন্তরিকতার অভাব না থাকুক।
গত ২০ জুন ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পিএসসি। ২৪ ক্যাডারে দুই হাজার ২৪টি শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে আসন্ন বিসিএসে। আগামী ১০ জুলাই থেকে এই বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। এই বিসিএসে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনে প্রশ্নপত্র মুদ্রিত থাকবে। আবেদনে প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করতে হবে। তা ছাড়া এই বিসিএস থেকে বাংলাদেশ বিষয়াবলীর ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় আলাদা করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন রাখা হবে। কেউ চাইলে লিখিত পরীক্ষা ইংরেজিতেও দিতে পারবেন।
পিএসসির সংশ্লিষ্টরা জানান, এতোদিন পর্যন্ত বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা একজন পরীক্ষক দেখতেন। ফলে মাঝে-মধ্যেই পরীক্ষার্থীরা বঞ্চনার শিকার হতেন। অতীতেও অনেকে ভালো পরীক্ষা দিয়ে কাঙ্ক্ষিত নম্বর পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের দাবি, বিসিএসের মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যেখানে এক-দুই নম্বরেই ভাগ্য বদলে যায়, সেখানে অনেক সময়েই পরীক্ষকের অবহেলায় অনেকেই কাঙ্ক্ষিত নম্বর পান না। ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিতে গেলে রাষ্ট্রপতিও দুইজনকে দিয়ে খাতার যথাযথ মূল্যায়নের কথা বলেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতেই পিএসসি এ সিদ্ধান্ত নিল।
পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি খাতা দুইজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করবেন। তাদের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানো হবে।
এদিকে, গতকাল সকালে পিএসসির প্রশাসনিক সভাকক্ষে ‘উত্তরপত্র নিরীক্ষণ বিষয়ে একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কশপে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উত্তরপত্র নিরীক্ষণ বিষয়ে নিরীক্ষকদের করণীয় কার্যাবলি উপস্থাপন করা হয়।
এ সময়ে পিএসসির চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পিএসসির সদস্য কামরুন নেসা খানম, কামাল উদ্দিন আহমেদ, সচিব বেগম আকতারী মমতাজ।