মানুষ কেন ভয় পায় ?
- ফিচার ডেস্ক
আমি ভয় পাই না, কখনো ভয় পাইনি, একথাটা বুকে হাত দিয়ে বলা খুব মুশকিল। কারণ আমরা সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময় ভয়ের সম্মুখীন হয়েছি।
রাতের অন্ধকারে অনেকের ভুতের ভয়ে গা ছম ছম করে। ভয়ংকর সাপ দেখলে প্রায় সবাই ভয় পায়। কেউ গাছপালা দেখলে ভয় পায়, কারো থাকে লেখা-পড়ায় ভয়। কেউ কেউ আবার ভয় পায় বৃষ্টিকে।
অনেকেই পানিতে নামতে বা উঁচু জায়গায় উঠতে যেমন ভয় পান, আবার কেউ কেউ সামান্য কারণেই ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এখন প্রশ্ন হলো আমাদের এত ভয় কোথা থেকে আসে বা আমাদের ভয় লাগে কেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় কারণে অকারণে আমরা ভয় পেয়ে থাকি। সব ক্ষেত্রেই যে কোনো শারীরিক সমস্যা থেকে এমন ভয়ের জন্ম হয়, তা কিন্তু নয়। তবে চিকিৎসা শাস্ত্রে বেশ কিছু বিরল রোগের সন্ধান পাওয়া গেছে যাতে আক্রান্ত হলে রোগীরা এভাবে ভয় পেয়ে থাকেন।
হাইলোফোবিয়া: এটি মারাত্মক একটি রোগ। কারণ এক্ষেত্রে সবুজ গাছপালা দেখলেই অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হয়। ফলে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে। অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে রোগীকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
অ্যাস্ট্রোফোবিয়া: বৃষ্টি বা বাজ পড়া দেখলেও অনেকে ভয় পেয়ে যান। এই রোগকে চিকিৎসা পরিভাষায় অ্যাস্ট্রোফোবিয়া বলা হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় রোগী সামান্য বৃষ্টিতেও বাড়ির বাইরে বেরুতে চান না। তাদের মনে হয় বৃষ্টির পানি গায়ে লাগলে মারাত্মক কিছু ঘটে যাবে।
নমোফোবিয়া: এমন অনেকে আছেন যারা এক সেকেন্ডও মোবাইল ফোন ছাড়া থাকতে পারেন না। এমন রোগকে নমোফবিয়া বলা হয়ে থাকে। প্রতি মুহূর্তে মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখার আজব ধরনের এক মানসিকতা তৈরি হয়ে যায় এমন রোগীদের।
ডাইনোফোবিয়া: এ রোগে ভিড়ের মধ্যে যেতে ভয় লাগে? এমনকী বাড়িতে অনেক লোক বেড়াতে এলেও অস্বস্তি লাগে। আপনার এমনটা হলে বুঝবেন আপনি ডাইনোফোবিয়া নামে একটি রোগে আক্রান্ত।
সেলেনোফোবিয়া: কখনও শুনেছেন কেউ চাঁদ দেখে আতঙ্কে মারা গেছেন? কিন্তু বাস্তবে এমন এক ধরনের রোগ আছে, যাতে কেউ আক্রান্ত হলে চাঁদ দেখলেই ভয় পেয়ে যান। অনেক ক্ষেত্রে এই ভয় এতটাই মাত্রা ছাড়িয়ে যায় যে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে। কিছু ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুরও আশঙ্কা থাকে।
প্যাপিরোফোবিয়া: সামান্য কাগজ দেখেও অনেক ভয় পেয়ে যান। এই রোগকে চিকিৎসার পরিভাষায় প্যাপিরোফবিয়া বলা হয়।