প্রান্তিক আইএসপি থেকে ক্যাশ সার্ভার তুলে নেয়ার নির্দেশ বিটিআরসির
- মেহেদী হাসান
আপনার কি মনে হয়? ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদির নিজস্ব সার্ভার সরাসরি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা দিয়ে থাকে? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে আপনি ভুল জানেন। এইসব বড় প্রতিষ্ঠানের সেবা নেওয়ার জন্য দেশের আইএসপির কাছে তাদের ক্যাশ সার্ভার স্থাপন করা থাকে।
এখন আসা যাক ক্যাশ সার্ভার কী? ধরুন আপনি একটি অফিসে কাজ করেন যেখানে আলমারি আছে ফাইল রাখার জন্য এবং আপনার কাজ করার জন্য টেবিল চেয়ার ও আছে। টেবিলের পাশে একটি ড্রয়ার আছে। আপনি যখন কাজ করবেন তখন আলমারি থেকে ফাইল নিয়ে কাজ করবেন এবং কাজ শেষ করে আবার আলমারিতে রেখে দিবেন। কিন্তু যখন এই একই ফাইল আপনার বার বার দরকার পরবে তখন আপনি টেবিল থেকে উঠে বারংবার ফাইল আনতে আলমারির কাছে যাবেন না। তখন নিশ্চয়ই আপনি ফাইলটি টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দিবেন এবং সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে তারপরই আলমারিতে রাখবেন। ক্যাশ সার্ভারও ঠিক এই রকম কাজ করে থাকে। গ্রাহক তার ব্যবহৃত আইএসপির ক্যাশ সার্ভার ব্যবহার করে থাকে যা সহজ এবং খরচ কম। যদি ক্যাশ সার্ভার না থাকে তাহলে সরাসরি এইসব প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে হবে যার ফলে সময় এবং খরচ উভয়ই বেশি লাগবে।
বিটিআরসি গত ১লা ফেব্রুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় আগামী ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে ন্যাশনওয়াইড আইএসপি এবং মোবাইল অপারেটর ব্যতিত সকল আইএসপি থেকে ক্যাশ সার্ভার তুলে নেওয়ার জন্য। এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। বিটিআরসি কারণ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে এসকল আইএসপি রাজধানীর বাইরের প্রান্তিক এলাকায় অবস্থিত। ক্যাশ সার্ভার তুলে নেওয়ার ফলে প্রান্তিক এলাকার গ্রাহকদের বাড়তি খরচ এবং ইন্টারনেটের গতি বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে।
আগে যেখানে ৫ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দিয়ে যে কাজ করা যেত এখন হয়ত তা ১০ এমবিপিএস দিয়ে করতে হবে। এভাবে করে ইন্টারনেট খরচ বৃদ্ধি পাবে তৃণমূল গ্রাহকদের। আইএসপিবিএ এর তথ্যমতে দেশে গুগল, ইউটিউব, ইয়াহু, ফেসবুক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০০ এর উপর ক্যাশ সার্ভার রয়েছে।