বন্যাদুর্গত সিলেটবাসীর পাশে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
- ফারহান ইসরাক তরফদার
গত ৫ জুলাই বাংলাদেশের সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় প্রায় এক হাজার পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যার পানি আগের চেয়ে অনেকটা কমলেও এখনও পানিবন্দিতে আছে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরের হাজার হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় এক হাজার পানিবন্দি পরিবারের জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্রিয়াশীল ক্লাবসমূহ একত্র হয়ে মোট ৫ লক্ষ টাকা তহবিল সংগ্রহ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এর সমপরিমাণ আরও ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে মোট ১০ লক্ষ টাকা অনুদান সংগ্রহ হয়।
সূত্র থেকে জানা যায় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ, দুইজন শিক্ষিকা, তিনজন শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ক্লাবসমূহের ১৩ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ২০ জন মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগৃহীত তহবিল ও অনুদান দিয়ে বন্যা কবলিত সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, ভীমখালি ইউনিয়ন ও ফেনারবার্ক ইউনিয়নের এক হাজার পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে প্রায় এক হাজার টাকা সমমূল্যের নিত্য-প্রয়োজনীয় খাবার, জরুরী ঔষধ ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ৩ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১কেজি চিড়া, ১ কেজি ডাল, ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ, ৫০০ মি.লি. সয়াবিন তেল, ৫০০ গ্রাম লবণ, ২৫০ গ্রাম হলুদ, ২৫০ গ্রাম মরিচের গুঁড়া, ৫০০ গ্রাম চিনি, ১ প্যাকেট সেমাই, ১টি সাবান, ৫ প্যাকেট স্যালাইন, ৫ টি মোমবাতি, ২টি দিয়াশলাই, ১ পাতা নাপা ও ১ পাতা মেট্রিল।
ইভেন্টির নাম দেওয়া হয় ‘হার্ট ফর হিউম্যানিটি’। ‘হার্ট ফর হিউম্যানিটি’ ইভেন্ট শুরু হয় গত ১৯ জুনে যার ব্যাপ্তিকাল ছিল ১১ দিন এটির অন্যতম ক্লাব সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন ড্যাফোডিল প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি এহসানুল হক ফেরদৌস। তিনি বলেন, “সবকিছুর পর আমাদের সবার ত্যাগ ও শ্রমের বিনিময়ে আমরা সফল হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। এত বড় একটা ইভেন্টে আমরা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি যার অভিজ্ঞতা আমাদের ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। আর এই শ্রমের উত্তম বদলা নিশ্চয়ই আল্লাহ দান করবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ টি ক্লাব থেকে ত্রাণ বিতরণে ১৩ জন ক্লাব প্রতিনিধিসহ সবার সিলেটে যাওয়া-আসা সহ যাবতীয় খরচ বহন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।