১৮ প্রতিষ্ঠান পেল জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার
- নিউজ ডেস্ক
ছয়টি ক্যাটাগরিতে ২০১৫ সালের জাতীয় উৎপাদনশীলতা ও মান পুরস্কার পেয়েছে দেশের ১৮টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পুরস্কারটির পোশাকি নাম ‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’। শিল্পকারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যের উৎকর্ষ অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) তৃতীয়বারের মতো এই পুরস্কার দিয়েছে।
রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে গতকাল বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিজয়ী ১৮ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, এনপিওর পরিচালক অজিত কুমার পাল।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে যথাক্রমে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম এথিক্স অ্যাডভান্স টেকনোলজি, দ্বিতীয় ইরা ইনফোটেক এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে আরএফএল গ্রুপের অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্পের ক্যাটাগরিতে ঢাকার উত্তরার ডিভাইন আইটি লিমিটেড প্রথম, পাবনার প্রিন্স কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড দ্বিতীয় ও সাতক্ষীরার রনি অ্যাগ্রো ইঞ্জিনিয়ারিং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে। মাইক্রো শিল্পের ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের বন্ধন সমাজ উন্নয়ন সংস্থা প্রথম, ঢাকার তারা মার্কা দ্বিতীয় ও সিলেটের উইমেন্স ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মেক্সিম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং কোম্পানি প্রথম, গাজীপুরের অঙ্গনা বিউটি পারলার অ্যান্ড স্কিন কেয়ার দ্বিতীয় এবং মিরপুরের প্রতিবেশী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কুটির শিল্প উন্নয়ন সংস্থা তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড। এই ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল।
হাইডেলবার্গ সিমেন্টের পরিচালক সৈয়দ আবু আবেদ সাহের পুরস্কারপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠানকে এক বছরের কর অবকাশ-সুবিধা দেওয়ার দাবি করেন, যাতে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদনশীলতা, শ্রমিকের দক্ষতা, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, কাজের পরিবেশ উন্নত করতে পারে।