মাত্র ৫০০ টাকার জন্য !
নিউজ ডেস্ক : সচিবালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করেন আশেকে আলম (২৩)। স্ত্রী আর ছোট্ট মেয়ে নিয়ে টানাটানির সংসার। তাই সপ্তাহখানেক আগে প্রতিবেশী যুবক মাসুমের (২০) কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই ৫০০ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মাসুম তাকে রড আর ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে মুগদার মধ্যপাড়া এলাকায় এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। স্থানীয় লোকজন মাসুমকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। সে ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলাচলকারী তুরাগ পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারী।
নিহতের ভাই মো. মুসা জানান, তার ভাই কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অফিসে কর্মরত। সপ্তাহখানেক আগে মধ্যপাড়ায় একই এলাকার পূর্বপরিচিত মাসুমের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেন তার ভাই। বিকেলে অফিস থেকে ফিরলে সেই টাকা ফেরত চায় মাসুম। দিতে না পারায় দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তিনি জানান, এক পর্যায়ে মাসুম তার ভাইকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আশেকে আলমকে ইট দিয়েও পেটানো হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক শাহ আলম জানান, আশেকে আলম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলে মাসুম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় স্বজনদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। খবর পেয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে মাসুমের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মাথা ও শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।
মুগদা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন,ধারের মাত্র ৫০০ টাকা দিতে না পারায় এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অভিযুক্ত মাসুম ও নিহত আশেকে আলম মধ্যপাড়ার একই এলাকায় ভাড়া থাকে। মাসুমকে আটক করা হয়েছে। সে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসের হেলপার। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।