খালেদাকে পাকিস্তানে ফিরে যেতে বললেন জয়
নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। একই সঙ্গে তিনি খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার ভোর রাতে নিজের ফেসবুক পেজে লেখা স্ট্যাটাসে এই আহ্বান জানান জয়।
সজীব ওয়াজেদ তাঁর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি খালেদার বাড়ির সামনে প্রতিবাদ জানাতে যান। বিএনপি এবং তাঁকে দেখান যে, তাঁর পাকি প্রভুরা এবং জামায়াতি পোষা গুণ্ডারা আমাদের ভাই এবং বোনদের যে হত্যা করেছে, সেই স্মৃতি অপপ্রচার চালিয়ে মুছে ফেলা যাবে না। আমার সঙ্গে একত্রে দাবি জানান, খালেদা পাকিস্তানে ফিরে যা।’
সে এখন থুতু ফেলেছে ৩০ লক্ষ শহীদের কবরে এবং থুতু ফেলেছে আমাদের দেশের মুখে। এরপর আমার আর এই মহিলার প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা অবশিষ্ট নেই। আমি ঘৃণা করি যে, সে কোনো সময় আমাদের জাতির প্রধানমন্ত্রী ছিল। সে একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। সে বারংবার আইএসআই এজেন্টদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে এবং নির্বাচনগুলোতে আইএসআই থেকে টাকা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ তাঁর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমি ক্ষুব্ধ যে বিজয়ের মাসে খালেদা জিয়া এবং তাঁর দল বিএনপি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। খালেদা নৃশংস পাক আর্মি ও তাদের সহযোগী খুনি জামায়াত-ই-ইসলামী কর্তৃক আমাদের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাকে পাকিস্তানিদের মতোই কমিয়ে বলে আসছে। সে দাবি করছে মাত্র কয়েক শত হাজার হত্যা হয়েছে। আজ বিএনপি এমনকি সেই মৃতের সংখ্যার ওপর জনমত জরিপ করতে বলছে! স্বীকৃত সত্য সব সময়ই সত্য। সেটা কখনো জরিপ দিয়ে নির্ণীত হয় না। ৩০ লক্ষ পুরুষ, নারী এবং শিশুকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল। হিন্দুদের নির্যাতন ও দেখামাত্র গুলি করা হয়েছিল। সমস্ত গ্রাম উজাড় করে ফেলা হয়েছিল। এমনকি যখন তারা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছিল, তখনো তারা আমাদের সেরা বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে সবাইকে হত্যা করেছিল। এগুলো যুদ্ধে হতাহতের কোনো ঘটনা ছিল না। এসব ছিল গণহত্যা।’
সজীব ওয়াজেদ স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘খালেদা এখন আবারও এই সব খুনিদের রক্ষা করতে চেষ্টা করছে। সে নৃশংসতার শিকার মানুষগুলোর মন্ত্রী বানিয়েছে সেই খুনিদেরই। সে এখন থুতু ফেলেছে ৩০ লক্ষ শহীদের কবরে এবং থুতু ফেলেছে আমাদের দেশের মুখে। এরপর আমার আর এই মহিলার প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা অবশিষ্ট নেই। আমি ঘৃণা করি যে, সে কোনো সময় আমাদের জাতির প্রধানমন্ত্রী ছিল। সে একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। সে বারংবার আইএসআই এজেন্টদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে এবং নির্বাচনগুলোতে আইএসআই থেকে টাকা নিয়েছে। তাঁর বাংলাদেশ থেকে বিদায় হওয়া এবং তাঁর ভালোবাসার পাকিস্তানে গিয়ে থাকা উচিত।’