দেশে ক্যান্সার রোগী ১৫ লাখ
নিউজ ডেস্ক : দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। স্বল্প সংখ্যক ক্যান্সার নিরাময় কেন্দ্র, চিকিৎসা খরচ নাগালের বাইরে থাকাসহ নানা কারণে আক্রান্ত রোগীর চারভাগের তিনভাগই রয়ে যাচ্ছে সেবার বাইরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নতুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। প্রায় দেড় লাখ মানুষকেই হার মানতে হয় মৃত্যুর কাছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবা সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনার পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস শাহরিয়ার সাইদ বলেন, ‘এসব রোগীদের ক্ষেত্রে গবেষণা দরকার। সেই সাথে বড় ধরনের অর্থায়ন এবং বিজ্ঞানীদের অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। সরকারি অর্থায়নের একটা সীমা আছে সেটার বাইরে যেতে পারবে না। এ জন্য ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে কোনো না কোনোভাবে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার।’
বাংলাদেশে ১৬০ টি ক্যান্সার নিরাময় কেন্দ্রের চাহিদা থাকলেও রয়েছে মাত্র ১৫টি। সংশ্লিষ্টদের ক্যান্সার সম্পর্কিত সাধারণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ অনেক ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সম্ভব বলে মত ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মফিজুর রহমানের।তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা মেডিকেলে ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ে যদি ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়, আর তারা যদি গ্রাম পর্যায়ে কাজ করে, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই এ রোগীর সংখ্যা কমে আসবে।’
নিরাময় কেন্দ্র না বাড়িয়ে আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে পুরনো কেন্দ্রগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংস্থাপনের সরকারি পরিকল্পনার কথা জানালেন সংশ্লিষ্টরা। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মোয়াররফ হোসেন বলেন, ‘আপাতত যদি ২০টি কেন্দ্র করে দেওয়া যায় তাহলে আগামী ২০ বছরের জন্য এ সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণের ব্যাপারে সরকার যেটা চিন্তা করছে বা উদ্যোগ নিয়েছে সেটা হলে চিকিৎসার জন্য মানুষকে আর ঢাকায় আসতে হবে না।’
২০২৫ সালে পৃথিবীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৯ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবার আশঙ্কা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার। তবে এই মরণব্যাধি প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরির জন্য সকল রাষ্ট্রকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।