ফজলে কবিরের আদ্যপান্ত
- মো. সাইফ
ফজলে কবির বাংলাদেশের ব্যাংকের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন গভর্নর। ১৯৫৫ সালের ৪ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফজলে কবির। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার হাসাইল গ্রামে কাটিয়েছেন শৈশব।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন ফজলে কবির। ১৯৮০ সালে রেলওয়ের সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে শুরু হয় তার কর্মজীবন। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন প্রসাশনে। এডমিনিস্ট্রেশনে তার ক্যারিয়ার প্রায় ৩৪ বছরের। এ দীর্ঘ সময়ে কাজ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের হয়ে।
প্রশাসনিক কাজে রয়েছে ফজলে কবিরের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা। কিশোরগঞ্জে ডেপুটি কমিশনার ও ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। বিপিএটিসির টপ কোর্স,পলিসি প্লানিং এ্যান্ড মেনেজমেন্ট কোর্স, ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে ক্যাপস্টোন কোর্স সহ পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানান রকম কোর্স ও এ তিনি অংশ নিয়েছেন,এতে লব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন পেশাগত জীবনে।
ন্যাশনাল একাডেমি ফর প্লানিং এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন ফজলে কবির। ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে কাজ করেছেনবিসিএস অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন একাডেমিতেও। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব এবং রেলওয়ের সচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বপালন করেন। বিশেষ অবদান রাখেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন একাডেমি, পুলিশ স্টাফ কলেজ,জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিএবং ম্যাস কমিউনিকেশন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটে।জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেও ছিলেন তিনি।
২০০৮ সালেজাতিসংঘের অর্থ ও বাজেট কমিটিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ফজলে কবির। এছাড়া পুরো কর্মজীবনেই তিনি বিভিন্ন সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দেশে অথবা দেশের বাইরেনানান সমঝোতার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখেছেন।
ব্যাক্তিগত জীবনে পুত্র সন্তানের জনক ফজলে কবির। স্ত্রী মাহমুদা শারমিন বেনু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। ছেলে তানভীর কবির বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এম.বি.এ করছেন।
২০১২ সালে অর্থ সচিবের দায়িত্ব পান তিনি। বর্তমানে সোনালি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যুক্তরাস্ট্রে অবস্থান করা ফজলে কবিরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে ১৮ই মার্চ। দেশে ফিরেই নতুন কর্মস্থলে যোগ দিবেন বলে জানা গেছে।