বিদেশি পর্যটক থেকে আয় হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা
- নিউজ ডেস্ক
চলতি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন ১ লাখ ৭৩ হাজার বিদেশি পর্যটক। তাদের মাধ্যমে আয় হবে ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। যা গত বছরের চেয়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডবি্লউটিটিসি) ২০১৬ সালের প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দেশে পর্যটনের ভরা মৌসুম ধরা হয় সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। এ কয়েক মাসকে কেন্দ্র করেই সাধারণত ব্যবসার পরিকল্পনা সাজায় বেসরকারি খাতের পর্যটন প্রতিষ্ঠানগুলো। যদিও গত তিন বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হারিয়েছে পর্যটনশিল্প।
বিশ্বজুড়ে দেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতেই ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করে সরকার। ব্যাপক ঢাকঢোল পিটিয়ে যার সূচনা হয় বছরের শুরুতে। ডবি্লউটিটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে জাতীয় পর্যটন বোর্ড। বোর্ডের আশা, জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে দেশের পর্যটন খাত। তারা বলছেন, এশিয়ার অনেক দেশই পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নিজেদের আকর্ষণীয় করে তুলছে। সে তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে মনোরম পাহাড়, নদী, হাওর-বাঁওড়, বিশ্বখ্যাত সমুদ্রসৈকত, ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন আর ইতিহাস-ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
ডবি্লউটিটিসি মনে করে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ভ্রমণকারী বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়াবে ২ লাখ ৭৮ হাজারে। বিদেশি পর্যটকের মাধ্যমে বাংলাদেশ আয় করবে ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা।
ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন টোয়াবের পরিচালক তৌফিক রহমান বলেন, কয়েক বছরে রাজনৈতিক সংকটসহ নানা কারণে বাংলাদেশ ভ্রমণ এড়িয়ে চলেছেন বিদেশি পর্যটকরা। চলতি বছরের শুরুর দিকেও এরকম অনেক বিদেশি পর্যটক তাদের পূর্বনির্ধারিত ভ্রমণ বাতিল করেছিলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের আস্থার সংকট কাটানো প্রয়োজন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজানো হলেও অর্থের অভাবে বিভিন্ন পরিকল্পনা কাটছাঁট করতে হচ্ছে। তবে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটন বর্ষ উদযাপনে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।