স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়
- ফিচার ডেস্ক
স্মার্টফোন শুধু কথা বলার জন্য নয়; সামাজিক যোগাযোগ, ই-মেইল, ছবি তোলা, গান শোনা, ভিডিও দেখাসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। দিনের অনেকটা সময় ব্যয় হয় স্মার্টফোনে। অনেকে শোবার আগে শেষ কাজ হিসেবে স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে আবার ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে ফোন চেক করেন।
শুধু তাই নয়, অনেকে রাতে কোনো কারণে ঘুম থেকে উঠলেও ফোন ব্যবহার করে থাকেন। অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বা সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী কাজ বা আড্ডার পরিবর্তে স্মার্টফোনে সোশ্যাল সাইট বা ই-মেইল চেক করে থাকেন অনেকে। তবে স্মার্টফোনের অধিক ব্যবহার আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এই আসক্তি ব্যবহারকারীদের নানাভাবে ক্ষতি করে। দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এই স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারি। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির কার্যকর উপায়।
অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন
অপ্রয়োজনীয় সব নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন, বিশেষ প্রয়োজন থাকলে ব্যতিক্রমের তালিকা আপডেট করে কেবল তাদের নোটিফিকেশনই চালু রাখুন। আর তা করতে আপনার আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে ব্যাজ নামে পরিচিত ডট আইকনটি বন্ধ করে দিন। আপনি অবশ্য চাইলে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপের নোটিফিকেশন আলাদাভাবেও বন্ধ করতে পারেন। আর ফেসবুকের নোটিফিকেশন বন্ধ করতে চাইলে এর নিজস্ব সেটিংসে যেতে হবে।
নিয়মিত ডিটক্স করুন
খাবার খাচ্ছেন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন এমন সময়ে স্মার্টফোনটি দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এমনকি প্রতি শুক্রবার এটি বন্ধ রাখার চেষ্টাও করতে পারেন। ফোনের সংস্পর্শে না থাকাটা আপনার মস্তিস্ককে রিসেট করতে সাহায্য করবে।
সময় নির্ধারণ করুন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের প্রাত্যহিক সময়ের অনেক অংশ কেড়ে নেয়। এক্ষেত্রে ফেসবুক বা ই-মেইল বা যেকোনো মাধ্যমের তাৎক্ষণিক বার্তা পড়ার জন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে রাখুন। তারপর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকুন ওই নির্ধারিত সময়ের বাইরে আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কোনো চেক ইন এবং স্ট্ক্রলিং করবেন না। এর পাশাপাশি আপনার ফোনের ফেসবুক অ্যাপটি মুছে ফেলার চেষ্টা করুন এবং শুধু একটি কম্পিউটার থেকে ফেসবুক ব্যবহার করুন।
অটোপ্লে বন্ধ রাখুন
ইউটিউব এবং নেটফ্লিক্সের মতো পরিসেবাগুলো প্রায়ই একটি ভিডিও দেখার পর স্বযংক্রিযভাবে পরবর্তী ভিডিওটি প্রদর্শন করে। এতে করে অনেক সময়ই বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়তে হয় এবং কাজেও ব্যাঘাত ঘটে। তাই স্মার্টফোনে এ সব সাইটের অটোপ্লে অপশনটি বন্ধ রাখুন। সেটিংসে গিয়ে অতি সহজেই এই অটোপেল্গ বন্ধ করা যায়।
অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন
হিউম্যান টেকনোলজি সেন্টার নামের একটি সংস্থার তথ্যানুযায়ী বিছানায় কখনই স্মার্টফোন রাখা উচিত নয়। কারণ স্মার্টফোন নিরবচ্ছিন্ন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। কারণ ফোন থেকে যে নীল আলো বের হয়, তা আমাদের শরীরের মেলাটোনিন অবমুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর এই মেলাটোনিন রাতে ঘুমাতে সাহায্য করে।
সুতরাং রাতে ঘুমানোর সময় আপনার ফোনটি বিছানা থেকে একটু বেশিই দূরে রাখুন। এবং অ্যালার্ম দেওয়ার প্রয়োজন হলে আলাদা অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন।