আলোচিত কয়েকটি উদ্যোগ বিলুপ্ত হলো এ বছর
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
প্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে স্টার্টআপ (উদ্যোগ) ব্যবসায় সফল হয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠানের নাম গুণে শেষ করা কঠিন। গুগল, ফেসবুক কিংবা আমাজনসহ এ ধরনের হাজারো প্রতিষ্ঠান রয়েছে বিশ্বজুড়ে। তবে এমন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানও রয়েছে, যারা কোটি কোটি ডলারের মূলধন নিয়ে শুরু করেও টিকে থাকতে পারেনি। এ রকম কয়েকটি বিলুপ্ত স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের কথা থাকছে এখানে।
বিপি
২০১৩–১৭
অনলাইনে পুরোনো গাড়ি কেনাবেচার ওয়েবসাইট বিপি ডটকম এ বছরের শুরুতেই তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ১৫ কোটি ডলার মূলধন জমা করা প্রতিষ্ঠানটি কেন এমন লোকসানের মুখ দেখল, তা নিয়ে বিপির কেউই মুখ খোলেনি। ফেয়ার ডটকমসহ অনেকেই বিপিকে কিনতে চেয়েও পরে আর কেনেনি। বিনিয়োগকারীর অভাবেই ৫৬ কোটি ডলার মূল্যের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়েছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
কুইক্সি
২০০৯–১৭
স্মার্টফোনের জন্য অ্যাপ খোঁজার ওয়েবসাইট কুইক্সি ডটকম গত ফেব্রুয়ারি নাগাদ তাদের বেশির ভাগ কর্মীকেই ছাঁটাই করে। প্রায় ১৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা কুইক্সি স্থিতিশীল রাজস্ব উৎসের অভাবে এ বছরের শুরুতেই বিলুপ্তির পথে চলে যায়। ২০১৬ সালে ৬০ কোটি ডলার মূল্যের কুইক্সি তাদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টোমার ক্যাগানকেও পদচ্যুত করে।
ইক ইয়াক
২০১৩–১৭
গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি কলেজ শিক্ষার্থীর হয়রানি মামলার শিকার হয় অ্যাপভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইক ইয়াক ডটকম। ব্যবহারকারী সংকটে ৪০ কোটি ডলার মূল্যের এই প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের এপ্রিলে ওয়েবসাইট বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। ওয়েবসাইট বন্ধ ঘোষণার পরদিনই এর প্রকৌশল দলটিকে মাত্র ৩০ লাখ ডলারে কিনে নেয় অর্থ লেনদেনের প্রতিষ্ঠান স্কয়ার।
স্প্রিং
২০১৩–১৭
যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে উচ্চ মানের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্প্রিং তাদের সর্বশেষ খাবার সরবরাহ করে গত ২৬ মে। ১৫ মিনিটের মধ্যেই খাবার সরবরাহ করতে পারা এই প্রতিষ্ঠানটি নিচু মানের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি এর ব্যবসার গঠনগত ভুলের কারণে। ১১ কোটি ডলার মূল্যের স্প্রিংয়ের মূলধন ছিল সাড়ে ৫ কোটি ডলারের বেশি।
হ্যালো
২০১২–১৭
উন্নত প্রযুক্তির ঘুম পর্যবেক্ষক সেন্সর বানিয়ে ২০১২ সালে অনেকটাই পরিচিতি লাভ করে হ্যালো স্টার্টআপ। ৪ কোটি ডলার মূলধন নিয়ে হ্যালো এ ধরনের বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য বানাতে শুরু করে। তবে গ্রাহকের অভাবে গত জুনেই বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। ৩০ কোটি ডলার মূল্যের হ্যালো আর রাতে কাউকে শুভরাত্রি বলার সুযোগ পায়নি।