এইউএপি’র সভাপতি হচ্ছেন ড. মো. সবুর খান
- নিউজ ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান Association of Universities of Asia and the Pacific (AUAP)-এর দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট (২০১৯-২০২০) এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট (২০২১-২০২২) এবং সভাপতি (২০২৩-২০২৪) নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১৯ নভেম্বর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অটঅচ -এর ১৬তম সাধারণ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের সুরানারি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির রেক্টর অধ্যাপক ড. ইউরাপং পেয়ারসুয়াং এবং ভারতের হিন্দুস্তান গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশনসের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. আনন্দ জ্যাকব ভার্গিসকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ড. মো. সবুর খান AUAP’র দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বমঞ্চে সগৌরবে উত্তোলিত হলো বাংলাদেশের পতাকা। এইউএপির নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের পর ড. মো. সবুর খান স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে উত্তীর্ণ হবেন এবং দুই বছর এই পদে দায়িত্ব পালনের পর প্রেসিডেন্টের পদ অলঙ্কৃত করবেন। ফলে আগামী ৮ বছর আন্তর্জাতিক এই সংগঠনে নেতৃত্ব দেবেন ড. মো. সবুর খান।
আজ রোববার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: অর্জন ও করণীয়’ শীর্ষক এক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ এম ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মিট দ্য প্রেসে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদার, ট্রেজারার হামিদুল হক খান, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। মিট দ্যা প্রেস সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে ড. মোহাম্মদ সবুর খান বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্বের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরো বেশি আন্তর্জাতিকীকরণ করতে হবে। এজন্য আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার পরিবেশ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সঙ্গে শিক্ষার্থী বিনিময় প্রকল্প, সামার প্রোগ্রাম, ইন্টার্নশিপ, যৌথ গবেষণা প্রকল্প, শিক্ষক বিনিময় প্রকল্প ইত্যাদির আয়োজন করা উচিত। ইতিমধ্যে আমাদের দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের প্রোগ্রাম শুরু করেছে। ইউরোপ, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সাধারণত শিক্ষা ব্যায় বেশি, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ প্রোগ্রাম করতে হবে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শুরু থেকেই এসব প্রোগ্রাম আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে এ ধরনের সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বাংলাদেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় Association of Universities of Asia and the Pacific (AUAP)-এর সদস্য হয়েছে। অটঅচ-এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক নির্মাণের মাধ্যমে শিক্ষাবিস্তারে একযোগে কাজ করা। আগামী ৮ বছর আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে ভোট প্রদান করতে পারব। তিনি দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কেও এই বৈশ্বিক রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, AUAP-তে এই অর্জন শুধু ড্যাফোডিলের নয়, বরং বাংলাদেশের। এই অর্জন আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। প্রথমত: এটি আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে এক গর্বের মুহূর্ত। AUAP-র ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি এই বৈশ্বিক সংগঠনে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত: এটি আমাদেরকে এই সত্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় যে, আমরা এখন বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। তৃতীয়ত: এই অর্জনের ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হলো। আমাদের একটি অনন্ত সম্ভাবনাময় মেধাবী তরুণ প্রজন্ম রয়েছে, সুতরাং আমরা অদূর ভবিষ্যতে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হব, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ড. মো. সবুর খান AUAP-র দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বদরবারে সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার উন্মোচিত হলো। এখন থেকে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুব সহেজেই বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার্থে এবং বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি বিনিময় প্রোাগ্রাম, লিডারশিপ প্রোগ্রামসহ সব ধরনের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য AUAP-র সদস্য হওয়ার পথও সুগম হলো। ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে থেকে সরেজমিন অনেক কিছু শিখতে পারবে এবং সেই মোতাবেক আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববাজারের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।