ড্যাফোডিল পরিবার ও রাওয়া’র মধ্যে সমঝোতা
- সংবাদ ডেস্ক
অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া), ড্যাফোডিল পরিবার এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) একত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অর্জিত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে এখন থেকে একযোগে কাজ করবে। এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) এবং ড্যাফোডিল পরিবারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক ৯ মার্চ (শনিবার) রাওয়া কনভেনশন সেন্টারের ঈগল হলে স্বাক্ষরিত হয়। রাওয়া’র পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন রাওয়া’র সেক্রেটারী জেনারেল লেঃ কর্নেল মোঃ শামসুল ইসলাম (অবঃ) এবং ড্যাফোডিল পরিবারের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মজীবন সহায়তা কর্মসূচি, দ্বিপাক্ষিক এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুবিধার আদান-প্রদান কর্মসূচী, দক্ষতা বিনিময় এবং পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল পরিবারের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এবং রাওয়া’র নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মেজর খন্দকার নূরুল আফসার (অবঃ), সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুল আলম (অবঃ), ভাইস চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান (অবঃ), এক্সিকিউটভ কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ, রাওয়া’র উপদেষ্টা কমিটির সম্মানিত সদস্যগণ, রাওয়া এন্ট্রাপ্রেনার্স ফোরামের কনভেনার লেঃ কর্নেল এ এম মোশারফ হোসেন (অবঃ), সকল সদস্যবৃন্দ এবং এর সম্মানিত উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ, রাওয়া রিসার্চ ফোরামের গভর্নিং বডির সম্মানিত সভাপতি, সদস্যবৃন্দ এবং সাধারণ সদস্যবৃন্দ ও রাওয়া সচিবালয়ের প্রধার নির্বাহীসহ সকল কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ড্যাফোডিল পরিবারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ড্যাফোডিল পরিবার বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় সংগঠন এবং বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই পরিবারের মধ্যে রয়েছে একত্রিশটিরও বেশী অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যারা আইসিটি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপর কাজ করে থাকে। ড্যাফোডিল পরিবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তাদের কার্যক্রম ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ড্যাফোডিল যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, মালয়েশিয়া ও দুবাইতে তার কার্যক্রম শুরু করেছে এবং বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক ও সম্পর্ক তৈরি করেছে।
বিশ্বব্যাপী মানুষের গড়আয়ু বৃদ্ধি পেলেও চাকরির বয়সসীমা ঐ হারে বাড়েনি। বিশেষ করে সশস্ত্রবাহিনীর কর্মকর্তাগণ তাঁদের প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার চুড়ান্ত উৎকর্ষের একটি পর্যায়ে অবসরে চলে আসেন। বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও গবেষণা থেকে প্রমানিত হয়েছে যে, সঠিক সমন্বয় এবং কার্যকরী উদ্যোগের মাধ্যমে এই বিশাল দক্ষ জনগোষ্ঠি দেশের জাতীয় আয়ে উল্লেখযোগ্য ভ’মিকা পালন করতে পারে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, একে অপরের সাথে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং যোগাযোগের জন্য এবং একই স্বার্থ ও উদ্দেশ্যে সাধনের জন্য একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এবং তাদের ব্যক্তিগত ও যৌথ সমস্যাগুলির কার্যকর সমাধান এবং সেইসাথে জাতির কল্যাণের জন্য ‘রাওয়া’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া), ড্যাফোডিল পরিবার এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) একত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিকাশের জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে যেন তারা চাকরি-জীবন শেষে সামাজিক ও নাগরিক জীবনকে সুন্দর করে মোকাবেলা করতে পারে এবং অবসর গ্রহণের পরেও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। রাওয়া এবং ড্যাফোডিল পরিবার সেই উদ্দেশ্যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একত্রে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে অঅন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের শিক্ষার মান নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে সেটিক মোকাবেলা করার জন্য উদ্যোক্তারা সারা দেশজুড়ে স্কুল ফ্র্যাঞ্চাইজি তৈরির বিষয়েও মনোযোগ দেবে এবং সারা দেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করবে। উভয় দল যৌথভাবে যথাযথ কর্তপক্ষের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে এবং চালকদেরকে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করণে উদ্ধুদ্ধ ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবে দেশজুড়ে। সমরঝাতা স্মারকের আওতায় রাওয়া সদস্যের নিজ পরিবার ও স্ত্রী এবং রাওয়ার মনোনীত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যের ছেলে ও মেয়ের জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ ড্যাফোডিল পরিবারের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাড়ের অতিরিক্ত দশ শতাংশ (১০%) টিউশন ফি ছাড় দিবে।