বিকেএসপি : ক্রীড়াবিদদের আঁতুড়ঘর
- নিলয় বিশ্বাস
সাকিব আল হাসান কিংবা মুশফিকুর রহিমের নাম বাংলাদেশের কোন নাগরিকের কাছে অজানা নয়। শুধু এই দুইজন নয় এমন অনেক ক্রীড়াবীদদের নাম নিলে চলে আসবে বাংলাদেশের ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) নাম। কেননা এই প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করছেন ক্রীড়াবীদরা।
ঢাকার অদূরে সাভারের জিরানি বাজারে ১৯৮৬ সালে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ সরকারের যুব এবং ক্রীড়া মন্ত্রাণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এটিই বিকেএসপির প্রধান কেন্দ্র। এছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট এবং দিনাজপুরে রয়েছে বিকেএসির আঞ্চলিক কেন্দ্র। বর্তমানে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, আর্চারি, অ্যাথলেটিক, সাঁতার , টেনিসসহ মোট ১৭টি ডিসেপ্লেন চালু রয়েছে বিকেএসপিতে।
প্রতিবছর চতুর্থ থেকে সপ্তম শ্রেণিতে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। এখানে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। প্রতিবছর প্রতিটি ডিসিপ্লিনে যে কয়টি আসন খালি থাকে সে অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। খেলাধুলার পাশাপাশি ক্রীড়াবিজ্ঞানের উপর পড়াশুনা করে থাকেন এখানে শিক্ষার্থীরা।
দেশের যে কোন ধরনের যুব দলে দেখা মেলে এই বিকেএসপির শিক্ষার্থীদের। এই বিকেএসপি থেকে বের হয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, আনামুল হক বিজয়, আব্দুর রাজ্জাকের মতো ক্রিকেটাররা। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় এই বিকেএসপির শিক্ষার্থী। শুধু ক্রিকেট নয় দেশের ফুটবলেও মাঠ মাতাচ্ছেন বিকেএসপির শিক্ষার্থীরা। মামুনুল ইসলাম মামুন, জাহিদ হাসান , জাহিদ হাসান এমিলি, সোহেল রানারা বিকেএসপির ছাত্র। এছাড়াও শুটিংয়ে আসিফ হাসান, আবদুল্লাহ হেল বাকি, হকিতে রাসেল মাহম্মদ জিমি, মামুনুর রহমান চয়ন, সাঁতারে মাহফিজুর রহমান সাগর, মাহফুজার আক্তার শিলার মতো তারকরা এই বিকেএসপির শিক্ষার্থী। এছাড়াও আরো অনেক বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতে এমন অনেক তারকারা আছেন যারা বিকেএসপির শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮০ একরের বিকেএসপির তারার সংখ্যার তালিকাটা বিশাল দীর্ঘ।
বিকেএসপির শিক্ষার্থীরা শুধু যে খেলাধুলায় পারদর্শী তা নয়। দেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা মিলবে এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের।