ভর্তার রাজ্য জাবির বটতলা
- নিলয় বিশ্বাস
বাঙালি জাতি অতীত থেকে ভোজন রসিক জাতি। এই ভোজন রসিক জাতির খাবারের তালিকার বিশাল একটা অংশ জুড়ে আছে বিভিন্ন রকমের ভর্তা।আর ভর্তা প্রেমিদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় স্থান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার খাবারের দোকানগুলি। এখানে মেলে হরেক রকম ভর্তা। কম টাকায় দুপুর কিংবা রাতের খাবার সেরে ফেলার উপযুক্ত স্থান। শুধু ভর্তা নয় এখানে স্বাদ নেওয়া যাবে রকমারি বাংলা খাবারের । মোটামুটি সব ধরনের বাংলা খাবার পাওয়া যায় এই বটতলায়। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৫৫টি দোকান। সকাল থেকে মধ্য রাত অবধি পর্যন্ত চলে দোকানগুলি।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় কাওসার ফুড কর্নার এর পরিচালক কাওসার মিয়ার সঙ্গে। দোকানের মূল আকর্ষণ বাহারি রকমের ভর্তা। কাওসার বলেন, এখনকার দোকানগুলির মূল আকর্ষন বাহারি রকমের ভর্তা। এছাড়া নানা ধরনের দেশীয় মাছের চাহিদা আছে আমাদের ক্রেতাদের মাঝে। ছুটির দিন গুলোতে দোকানে ভীড় থাকে বেশি। সাধারণ দিনগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ ধরনের আইটেম করে থাকি। আর ছুটির দিনগুলোতে আইটেম সংখ্যা এর মত করে থাকি ৫০। খাবারের মান এবং দাম আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুসারে মেনে চলি।
বটতলাতে প্রায় সাত মাস ধরে নিয়মিত খেতে আসেন তানিয়া এবং সুমন নামের দুই বন্ধু। তারা জানান, সময় পেলে ভর্তা খাওয়ার উদ্দেশ্যেই তাদের এখানে আসা হয়। এখানকার খাবারের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে এবং খাবারগুলো অত্যন্ত মুখরোচক। তাই সময় পেলে দুজন চলে আসেন বটতলার বাহারি রকমের ভর্তার স্বাদ নিতে। অতীতে বেসরকারিভাবে পরিচালিত হতো খাবারের দোকানগুলো। তখন খাবারের মান এবং দাম ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তবে বর্তমানে এসব দোকানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে আ ফ ম কামালউদ্দিন, মাওলানা ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু হল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে দোকানগুলোর খাবারের মান এবং দাম যাচাইয়ের তদরাকি করছে কনজুমার উইথ এসোসিয়েশন। এতে খাবারের মান এবং দাম দুটোই নিয়ন্ত্রিত থাকে।