তুমি কি প্রজাপতির চেয়েও ছোট?
- মাইশা আতিয়া অর্চি
জীবনের চলার পথে আমাদের সবারই কিছু না কিছু ছুটে যায় বা ছেড়ে দিতে হয় বিভিন্ন প্রতিকুলতার কারণে যা আমরা করতে পছন্দ করি। যা করার সময় আমরা সময় বা চারিদিকে পরিস্থিতির দিকে নজর না দিয়ে আমাদের সব কিছু দিয়ে চেষ্টা করি তা সম্পূর্ণ করার, যেটা আমাদের আনন্দ দেয় কিন্তু জীবনের এই চলার পথে ছুটে যাওয়ার কারণে আমরা নিজেদের ডুবিয়ে দেই হতাশার সাগরে। মনে একটি ইচ্ছা থাকে ‘যদি সেই কাজটা করতে পারতাম’ কিন্তু মনে কড়া নাড়ে—‘এখন যে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে’। আমরা সবাই প্রকৃতির অংশ, এই প্রকৃতি থেকেই আমরা অনুপ্রেরণা নিতে পারি অনেক দূর এসে আবার নতুন করে শুরু করার।
যেমন ছোট্ট একটি লার্ভা (শুঁয়োপোকা) একটি সময় পার করে নিজেকে পরিবর্তন করে পরিণত হয় রঙবেরঙের পাখা যুক্ত একটি প্রজাতিতে। তাহলে আমরা কেন নয়?
এখন অনেকেই বলতে পারে আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা আমাদের বাধাগ্রস্ত করছে। এখানেও আমরা ঐ ছোট্ট লার্ভাকে (শুয়োপোকা) অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারি। যেমন লার্ভাটি ডিম থেকে বের হওয়ার পর তার খাদ্য প্রয়োজন হয় শক্তির জন্য। সে তার পাশে অবস্থিত ডিমের বাকি অংশ খেয়ে শক্তি সঞ্চয় করে। আমরাও আমাদের আসেপাশে যা আছে তা দিয়েই শুরু করতে পারি যদি ইচ্ছা থাকে।
এখন হয়তো অনেকেই বলবে রাস্তা অনেক দীর্ঘ, লক্ষ্য অনেক দূরে, অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। তাহলে তাদের আবারও বলব ঐ ছোট্ট প্রজাপতিকে মনে করার কথা, যে শীতের মৌসুমে বিশাল পথ পাড়ি দিয়ে এক দেশ থেকে অন্য কোন দেশে পাড়ি জমায় শুধুমাত্র দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের কারণে।
আমরা কী করব, না করব সবকিছুই নির্ভর করে আমাদের লক্ষ্যের উপর।
এখন হয়তো অনেকেই বলে উঠবে আমি তো আর লার্ভা (শুয়োপোকা) বা প্রজাপতি না। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন থাকবে ছোট্ট একটি প্রজাপতি এতো কিছু পারলে তুমি কেন নয়? নিজেকে প্রজাপতির চেয়েও ছোট মনে করার কারণ কি?
মাইশা আতিয়া অর্চি
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি