করোনার সময় দুস্থদের পাশে ‘ওয়েবইনার ফর বাংলাদেশ’
- সংবাদ ডেস্ক
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত, তখন এর বাইরে নয় বাংলাদেশও। লকডাউনের কারণে ইতোমধ্যেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। জুটছেনা তাদের তিনবেলা খাবার। এই অভাবী-দুস্থ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই) এবং ফিউচার লিডারস যৌথভাবে গঠন করেছে ‘ওয়েবইনার ফর বাংলাদেশ’ নামের একটি অভিনব প্ল্যাটফর্ম।
প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে অনলাইনে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্ল্যাটফর্মটি গত ৩০ মার্চ থেকে যাত্রা শুরু করেছে, যেখানে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দেশবরেণ্য প্রশিক্ষক, বক্তা এবং লিডাররা দক্ষতা উন্নয়নমূলক বিভিন্ন বিষয়ের উপর এক ঘন্টাব্যাপী অনলাইনের মাধ্যমে লাইভ ইন্টারেক্টিভ প্রশিক্ষন প্রদান করে থাকেন। তরুণরা এসব প্রশিক্ষণ গ্রহন করে
নিজেদের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটান।
কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ নিম্ন আয়ের মানুষকে সাহায্য করার লক্ষ্যে প্রতিটি সেশনের জন্য অনুদানমূলক ফি নির্ধারণ করেছে ওয়েবইনার ফর বাংলাদেশ। প্রতি সেশনের জন্য ফি সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে ১০০০
টাকা পর্যন্তু (যার যতটুকু সামর্থ্য সে অনুযায়ী প্রদান করবে)। প্রতিটি সেশন থেকে অর্জিত অর্থ দুস্থ মানুষের জন্য খাবার জোগাড় করে বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। বাংলাদেশ কোভিড-১৯ থেকে সম্পূর্ন মুক্ত না হওয়া পর্যন্তু এই কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
দুটি বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে অনুদান গ্রহণ করা হচ্ছে যা ‘ওয়েবইনার ফর বাংলাদেশ’এর ওয়েবপেজ wfb.bsdi-bd.org–এর মাধ্যমে বিভিন্ন সেশনের রেজিষ্ট্রেশন লিংকে পাওয়া যাবে।
‘ওয়েব ইনার ফর বাংলাদেশ’-এর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে আছে বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন ফর লার্নিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বোল্ড) এবং চট্টগ্রামের ডিইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব।
আয়োজকরা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্থ দুস্থ মানুষের সাহায্যার্থে বিখ্যাত ব্যান্ড ‘বিটলস’-এর জনপ্রিয় গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন এবং ভারতের বিখ্যাত শিল্পী রবি শংকর আয়োজন করেছিলেন কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। এই ধারনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থ বাংলাদেশের দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েবইনার ফর বাংলাদেশ।
আয়োজকরা বিশ্বাস করেন ‘ওয়েবইনার ফর বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তরুণরা যেমন অভিজ্ঞদের কাছ থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ঘটিয়ে এই কঠিন সময়ে নিজেদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারবে তেমনি তাদের অনুদানে দুস্থ মানুষের মুখে জুটবে আহার।