স্বল্প খরচের ভেন্টিলেটর ‘নিঃশ্বাস’ তৈরি করলো ড্যাফোডিল
- সংবাদ ডেস্ক
নোবেল করোনা চিকিৎসায় সারা বিশ্বেই এখন ভেন্টিলেটরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, কিন্তু সেই অনুপাতে যোগান অনেক সীমিত। সারা বিশ্বে লকডাউনের কারনে চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন এবং আমদানিতেও রয়েছে অনেক জটিলতা। অন্যদিকে অনেক ব্যায়বহুল হওয়াতে মহামারীতে চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বল্পউন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল তরুণ গবেষক স্বল্পখরচের ভেন্টিলেটর তৈরিতে সফল হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্সের প্রকল্প পরিচালক মোঃ হাফিজুল ইমরান জানান , এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে ড্যাফোডিল রোবটিক্স ল্যাব থেকে স্বল্প খরচের ভেন্টিলেটর প্রজেক্ট এর কাজ শুরু করা হয়। এই প্রজেক্ট এ আমার সাথে ছিলেন রোবটিক্স ল্যাবের আরো ২ জন সদস্য—জিয়াউল হক জিম এবং রনি সাহা। সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০ দিন পর সফলভাবে প্রজেক্টটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। ভেন্টিলেটারটির নাম দেওয়া হয়েছে ’নিঃশ্বাস‘।
একজন আইসিইউ রোগী প্রতি মিনিটে কতবার শ্বাস-প্রশ্বাস নিবে এবং তার ভলিউম কতটুকু হবে সবই সেট করা যাবে এই স্বল্পখরচের ভেন্টিলেটরে। রোগীর বয়স ভেদে ভেন্টিলেটারের অপারেশন মুড সিলেকশন করার সুবিধাও রয়েছে এ ভেন্টিলেটারে। করোনা মহামারী মোকাবেলায় দেশের বড় বড় শহরের পাশাপাশি ছোট শহরগুলোতেও আইসিইউ সপোর্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। করোনা চিকিৎসা ছাড়াও যেসব হসপিটালে আইসিইউ / রেসপিরেটরি সাপোর্ট নেই সেখানে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে এই ভেন্টিলেটরটি।
এই সপ্তাহেই ভেন্টিলেটরটির ক্লিনিক্যাল টেস্ট এর জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ক্লিনিক্যাল টেস্টে সফল হলে এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা যাবে এমনটাই জানিয়েছে এই প্রজেক্টের প্রজেক্ট লিডার মোঃ হাফিজুল ইমরান।