ক্রেতা শূন্য গাবতলীর কামারশালা
- ওয়াছি আহসান
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবার জমে উঠেনি রাজধানীর গাবতলীর অন্যতম বৃহৎ কামারপট্টির বেচাকেনা । বর্তমান করোনা মহামারী এবং এর ফলে অর্থনৈতিক মন্দার কারনে ক্রেতা শূন্য বাজার খাঁ খাঁ করছে। বাজারে প্রচুর পরিমানে কুরবানির পশু কাটার দা, চাকু্, ছুঁড়ি ও চাপাতির মজুত থাকলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না দোকানীরা।
গাবতলীর এই কামারপট্টিতে প্রায় দোকান রয়েছে ২০-৩০ টি । বাজার ঘুরে দেখা যায় ঈদকে সামনে রেখে ভালই কর্ম ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা । লোহাকে কয়লার আগুনে উতপ্ত করে পিটিয়ে বানালো হয় প্রতিটি পশু জবাইয়ের বিভিন্ন আকার আকৃতির ধারালো অস্ত্র । এর পর সেগুলো সাজিয়ে রাখা হয় ক্রেতাদের জন্যে।
এখানকার বিক্রেতারা বলেন, ঈদের আর মাত্র এক দিন বাকি থাকার পরেও বাজারে নেই ক্রেতা। অস্ত্রের বাজার মূল্য অর্ধেক করার পরেও পাচ্ছেন না ক্রেতা। অপর দিকে কয়লা ও কাচা মালের মুল্য বৃদ্ধির কারনে গুনতে হবে লোকসান।
পশু জবাইয়ের ব্যবসা সিজনাল ব্যবসা। এর মধ্যে মরার উপর খরার ঘা হয়ে হাজির হয়েছে করোনা মহামারী। অনেকেই পশু কুরবানি দিচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা নেই বাজারে। বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের কাছ থেকে এরকম তথ্য পাওয়া যায় ।
দা ছুরির দাম জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, প্রতি পিচ চাপাতি আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, চামড়া তোলার ছুরি প্রতি পিচ ৫০ থেকে ১৫০ টাকা, বটি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, দা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা চাইনিজ কুড়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।