৯০ বছরের ঐতিহ্যে আব্বাস হোটেল
- নিলয় লরেন্স দাস
খুলনায় এসেছেন আর চুকনগরের আব্বাস হোটেলে চুইঝালের খাসি খাননি এমন মানুষ খুব কম আছে। চুইঝাল যেমন খুলনা বিভাগীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক খাবার হিসেবে পরিচিত তেমনি চুইঝালের সাথে চুকনগরের ‘আব্বাস হোটেল’ও পরিচিত বা একে অপরের সাথে জড়িত।
বলা হয়ে থাকে চুইঝাল আর আব্বাস হোটেলের যাত্রা শুরু হয়েছিল একই সাথে৷ আর দিনে দিনে আব্বাস হোটেল চুইঝালের খাসি নিয়েই বিখ্যাত হয়েছে দেশে ও দেশের বাইরে। পাড় করেছে ৯০ বছর।১৯৬০ সালে চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা এই হোটেল আজ একে একে তিনটি শাখা গড়েছে খুলনা ও যশোরে। চুইঝাল ও খাসির চমৎকার মেলবন্ধনের রান্না প্রথম শুরু করে আব্বাস হোসেন নামের এক চুকনগর বাসিন্ধা। সেই থেকে ৩ প্রজন্ম ধরে এই চুইঝালের মাংস রান্না করে আসছেন তারা৷ খুলনাসহ সারাদেশের ভোজনরসিকদের কাছে আব্বাস হোটেলের মাংসের এতো জনপ্রিয়তার পেছনে মূল কারণ হলো, চুইঝাল ও মসল্লা পরিপূর্ণ দেশী খাসির মাংস। আর তাই তো প্রতিদিন আব্বাস হোটেলে ক্রেতার ভীড় উপচে পড়া থাকে৷ স্থানীয় লোকজন ও খুলনাবাসীর কাছে আব্বাস হোটেলের চুইঝাল খাসির মাংসের কদর খুবই বেশি। আত্মীয়স্বজন কিংবা অতিথি বাসায় এলে এই খাবার দিয়ে আপ্যায়নের খ্যাতি রয়েছে খুলনাবাসীর।
প্রত্যেকটি শাখায় আব্বাস হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন ১০টির ওপরে খাসির মাংস ক্রয় করেন৷ নানাবিধ মসল্লার বিশাল পরিমাণ মজুদ থাকে তাদের৷ আর চুইঝাল তো আছেই। ভোর থেকে রান্না শুরু করে রাত ১০টা অব্দি চলে তাদের রন্ধনযোগ্য।
তবে, আব্বাস হোটেলের সাথে একটি হৃদয় বিদারক ঘটনাও আছে জড়িত। জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাঞ্জারুল ইসলাম রানা এই হোটেলে খেতে এসেই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন। যদিও সে ভয়াবহ ঘটনার পর থেকে মহাসড়কের উন্নতি হয়েছে চোখে পড়ার মতো।