বড়দিন সম্পর্কে আপনি যা জানেন না!
- ফিচার ডেস্ক
বেথেলহেম নগরের এক গোয়াল ঘরে মা মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ছোট্ট যীশু। তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল মানুষের মনে ঈশ্বরপ্রীতি, পারস্পরিক সৌভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা বোধ জাগাতে এবং বিশ্ব থেকে রাগ-হিংসা মুছতে। আজ আমরা আপনাদের বড়দিন সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জানাব, যা হয়তো আপনাদের অজানা।
১) আগে সান্তা ক্লজ বিভিন্ন রঙের পোশাক পরতেন। ১৯৩০ সালে কোকা কোলা তাদের বিজ্ঞাপনে সান্তা ক্লজকে লাল রঙের পোশাক পরায়, তার পর থেকেই লাল রঙের সান্তার পোশাক জনপ্রিয় হয়।
২) প্রথম থেকে ক্রিসমাস ডিনার হিসেবে টার্কি খাওয়া হত না, ইংল্যান্ডে শুয়োরের মাথা এবং সর্ষে দিয়ে এই উৎসব উদযাপন করত!
৩) ১৮৫৭ সালে ক্যারোল ‘জিঙ্গল বেলস’ লেখা হয়।
৪) ইংরেজ গৃহযুদ্ধের পরে ১৬৪৭ থেকে ১৬৬০ সালের মধ্যে, ১৩ বছর ইউকে-তে নিষিদ্ধ ছিল ক্রিসমাস।
৫) ক্রিসমাস ট্রি প্রথম তৈরি করে জার্মানি। হাঁসের পালক দিয়ে তৈরি হয়েছিল সেই ক্রিসমাস ট্রি।
৬) সান্তা ক্লজ কোনও কল্পনার চরিত্র নয়, সেন্ট নিকোলাস ছিলেন প্রথম সান্তা ক্লজ। তিনি ছিলেন শতাব্দী চতুর্থ এক খ্রিস্টান সাধু।
৭) সুইডেনের মানুষ ক্রিসমাসের সন্ধ্যেয় ডোনাল্ড কার্টুন দেখতেন।
৮) জাপানে KFC থেকে আসত ক্রিসমাস ডিনার।
৯) ১৮৫১ সালে রাজহাঁসের জায়গায় টার্কি আসে ক্রিসমাস ডিনারে।
১০) ১৯৯১ সাল থেকে কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি-এর প্রচলন শুরু হয়, ধীরে ধীরে আসল ক্রিসমাস ট্রি-র চাহিদা কমতে থাকে।
১১) বলিভিয়ানরা মধ্যরাতে যখন একত্রিত হয়, তখন তারা মোরগ নিয়ে আসেন, কারণ তাদের বিশ্বাস যীশুর জন্মের খবর প্রথম মোরগ দিয়েছিল।
১২) বিশ্বের কিছু জায়গায় ক্রিসমাস ১২ দিন ধরে উদযাপন হয়, কারণ শিশু যীশুকে খুঁজে পেতে তিন রাজার ১২ দিন সময় লেগেছিল।
১৩) কেরলের চেঙ্গানুরের বাসিন্দারা বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছিলেন। বিশ্বের বৃহত্তম মানব ক্রিসমাস ট্রি তৈরি করেছিলেন তারা, যেখানে ৪,০৩০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন।
১৪) কানাডায় সান্তার নামে একটি মেইলিং পোস্ট তৈরি করা হয়, যেখানে আজও প্রচুর চিঠি পৌঁছায়। এই ডাকের কোডটি হল,’ H0H0H0’।
সূত্র: বোল্ড স্কাই