যে নারীর কারণে আজকের বাবা দিবস
- ফিচার ডেস্ক
১.
দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে বাবা দিবস পালনের উদাহরণ আছে। তবে বাংলাদেশসহ বেশিরভাগ দেশেই বাবা দিবস পালিত হয় জুনের তৃতীয় রোববারে।
২.
ইউরোপের ক্যাথলিক দেশগুলোতে বাবা দিবস পালিত হয়ে আসছে সেই মধ্যযুগ থেকে। ১৯ জুন সেইন্ট জোসেফ’স ডেতেই মূলত পালিত হয় দিবসটি।
৩.
তবে এখন বিশ্বব্যাপী যে বাবা দিবস পালিত হচ্ছে, তার সূচনা যুক্তরাষ্ট্রে। সোনোরা স্মার্ট ডড (১৮৮২–১৯৭৮) এর উদ্যোক্তা। সোনোরা ১৯১০ সালের জুনের তৃতীয় রোববার তাঁর বাবা আমেরিকার গণযুদ্ধের যোদ্ধা উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিবসটি প্রবর্তন করেন।
৪.
১৯১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উইড্রো উইলসন প্রথম বাবা দিবস উদ্যাপনের অনুমোদন দেন আর ১৯২৪ সালে প্রেসিডেন্ট কেলভিন কুলিজ বাবা দিবসকে একটি জাতীয় ঘটনা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
৫.
শুভেচ্ছা কার্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হলমার্কের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে কার্ড বিক্রির দিক দিয়ে বাবা দিবসের অবস্থান চতুর্থ। প্রতিবছর বাবা দিবসে প্রায় ৭ কোটি ২০ লাখ কার্ড উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। তবে মোট সংখ্যাটা আরও বেশি নিশ্চিত।
৬.
বাবা দিবসের কার্ডগুলোর মধ্যে ৫০ শতাংশ উপহার হিসেবে পান বাবারাই। প্রায় ২০ শতাংশ কার্ড কেনেন নারীরা, তাঁদের স্বামীদের উপহার দেওয়ার জন্য। ২৫ শতাংশ কার্ড কেনা হয় মজা করে কাউকে দেওয়ার জন্য। অর্থাৎ এখনো বাবা হননি, এমন কাউকেই তা দেওয়া হয়। বাকি কার্ডগুলো দেওয়া হয় দাদা, চাচা, ভাই, ছেলে কিংবা বিশেষ কাউকে।
৭.
থাইল্যান্ডে রাজা ভূমিবলের জন্মদিন ৫ ডিসেম্বরে বাবা দিবস পালন করা হয়। থাইরা এ দিন বাবা ও দাদাকে ‘কোন্না’ বা সোনালু ফুল উপহার দেয়। এ ছাড়া রাজার প্রতি সম্মান দেখিয়ে দিনটিতে থাইরা হলুদ কাপড় পরে।
৮.
মার্কেটওয়াচ ডটকম নামের এক ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, বাবা দিবসে দেওয়া উপহারের মধ্যে ওপরের দিকে আছে ডিনার কিংবা বাইরে ঘুরতে যাওয়ার মতো ব্যাপার। তারপর আছে গ্যাজেট, তৃতীয় স্থানে কাপড়চোপড়।
সূত্র: প্রথম আলো।