৮০ দেশের জাতীয় সংগীত গাইতে পারেন প্রিয়াংশু
- ফিচার ডেস্ক
করোনার এই বিপর্যস্ত সময়কে কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছে যারা, তাদের একজন প্রিয়াংশু রায় চৌধুরী। ঘরে বসে ইউটিউব দেখে ইতিমধ্যে সে ৮০টি দেশের জাতীয় সংগীত শিখে নিয়েছে। কীভাবে সম্ভব হলো, শোনা যাক প্রিয়াংশুর মুখেই। সে বলে, ‘গান গাওয়া, গান শোনা আমার শখ। রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, আধুনিক বাংলা গান—সবই ভালো লাগে। আর ভালো লাগে ক্রিকেট। খেলা শুরুর আগে ক্রিকেটাররা যখন মাঠে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করেন, তখন গায়ে কাঁটা দেয়। ভাবলাম স্কুল বন্ধ। এ সময় নানা দেশের জাতীয় সংগীত শিখে নিলে কেমন হয়?’
চট্টগ্রামের পাথরঘাটা প্রিয়াংশুর ঠিকানা। সে পড়ছে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে। বিজ্ঞানের জটিল অথচ আনন্দদায়ক বিষয় নিয়ে আগ্রহ তার। বাবা পলাশ রায় চৌধুরী কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক। মা সোমা দত্ত গৃহিণী।
শুরুর দিকে শখের বশে জাতীয় সংগীত শেখা শুরু করেছিল প্রিয়াংশু। পরে তার মাথায় আসে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠানোর ভাবনা। গুগল করে সে কানাডার শিশুশিল্পী কেপ্রি এভেরিটের খোঁজ পায়। কেপ্রি ৭৬টি দেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ওই সব দেশে গিয়ে সে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। কেপ্রির কথা জানার পর প্রিয়াংশু একে একে ৮০টি দেশের জাতীয় সংগীত শিখে নেয়। প্রিয়াংশু বলে, ‘পাঁচ মাসের মধ্যেই জাতীয় সংগীতগুলো আমার আয়ত্তে চলে এসেছে।’ কথার ফাঁকে আমাদের বেশ কয়েকটি জাতীয় সংগীত গেয়ে শোনাল সে। ‘আমার সোনার বাংলা’ দিয়ে শুরু করে একে একে সে শোনাল নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত।
পড়াশোনায়ও বেশ ভালো প্রিয়াংশু। প্রাণিবিজ্ঞানের নানা কঠিন বিষয় পড়তে তার ভালো লাগে। অবসর কাটে গান, তবলা ও ইউকেলেলে শেখার মধ্য দিয়ে। গল্পের বই ও পত্রিকা পড়া তার নিত্যদিনের অভ্যাস।
প্রিয়াংশুর বাবা-মা বললেন, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠুক বা না উঠুক, ছেলে যে আগ্রহ নিয়ে একটা কিছু করছে, দেশের নাম ভিনদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, এতেই আমরা খুশি।’
সূত্র: প্রথম আলো