আফগানের উত্থান-পতন
- আদিবা
বিশ্বকে আতঙ্কিত করে আফগান সরকারের পতন ঘটিয়ে তালেবান পুরোপুরি আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে। সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তান বা উজবেকিস্তানে পালিয়েছেন। আফগানিস্তানের ৯০% সীমানা এখন তালিবানদের দখলে। তবে কারা এই তালেবান? কোথা থেকে এসেছে? ওসামা বিন লাদেন এই গল্পের সাথে কোথায় খাপ খায়? আমেরিকাই বা কেন আফগানিস্তানে তার সেনাবাহিনী পাঠালো?
১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি এবং কমিউনিস্ট নেতা নূর মুহাম্মদ তারাকি ঘটনা চক্রে খুন হন যার ফল হিসেবে দাঁড়ায় সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তানে হস্তক্ষেপ। তারকি একজন কমিউনিস্ট নেতা থাকা সত্ত্বেও সহকর্মী কমিউনিস্ট নেতা হাফিজুল্লাহ আমিন তাকে হত্যা করে ক্ষমতার লোভে। হাফিজুল্লাহ প্রথমে তারকিকে গ্রেপ্তার করেন এবং তাকে হত্যা করেন। আফগানিস্তানে কমিউনিস্ট পার্টি মূলত দুটি উপদলে বিভক্ত ছিল এবং তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাধ লেগে থাকতো। সেই সময়ে কমিউনিস্ট এবং ইসলামপন্থীরাও একে অপরের সাথে যুদ্ধ করছিল। ১৯৯৭ সালে প্রতিবেশী দেশ ইরান যখন ইসলামপন্থীরা দখল করে নেয় আর এই দেখে হাফিজুল্লাহ আমিন আফগানিস্তানের ইসলামপন্থীদের দখল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তিনি মসজিদ নির্মাণ থেকে শুরু করে বক্তৃতায় আল্লাহর নাম অন্তর্ভুক্ত, কুরআনের কপি পর্যন্ত বিতরণ শুরু করেন। কিন্তু তাও মানুষ তাকে একদমই পছন্দ করত না। তিনি আফগানিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে অনেক অত্যাচার করেছিলেন যার কারণে তিনি আফগানিস্তানের একজন আধা-সাইকোপ্যাথ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।
১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ইসলামপন্থীরা আফগানিস্তান দখল করার আগেই সোভিয়েত ইউনিয়ন হাফিজুল্লাহ আমিনকে হত্যা করে তার বাহিনী পাঠিয়ে হস্তক্ষেপ করে। সোভিয়েত ইউনিয়নের এমন কাজ করার একটি আদর্শগত কারণের পাশাপাশি একটি ভূ-রাজনৈতিক ছিল। মূলত কমিউনিজমের আদর্শ আফগানিস্তান হারাতে থাকে এবং হাফিজুল্লাহ আমিন কমিউনিজমকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে যাচ্ছিল। অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকার মধ্যে শীতল যুদ্ধ ছিল যা একটি বড় ভূরাজনৈতিক কারণ হিসেবে দাঁড়ায়। যদি সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তার করতে পারে, তখন আরও একটি দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাবে আসতে পারবে বলে হাফিজুল্লাহ আমিনকে হত্যার পর বাবরক কারমালকে নতুন সরকার প্রধান হিসেবে বসানো হয়। তিনি সৌর বিপ্লবের একজন নেতাও ছিলেন। ক্ষমতায় আসার পরপরই তিনি ২৭০০ এরও বেশি রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছিলেন। লাল কমিউনিস্ট পতাকার পরিবর্তে একটি নতুন পতাকা, নতুন সংবিধান, অবাধ নির্বাচন, বাক স্বাধীনতা, প্রতিবাদের অধিকার এবং ধর্মের স্বাধীনতারও প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। অবশেষে মনে হচ্ছিল যেন আফগানিস্তানে শান্তি ফিরে এসেছে এবং সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।
কিন্তু আমেরিকা কীভাবে আফগানিস্তানের অগ্রগতি দেখে নীরব থাকতে পারে? আমেরিকা আফগানিস্তানকে একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় যেন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পারে। আমেরিকা এই প্রতিশোধ নেয় আফগানিস্তানে বিরোধী মতাদর্শ মুজাহিদিনকে সমর্থন করে। পাকিস্তান এবং সৌদি আরব ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে ইসলামপন্থী মুজাহিদিনদের সমর্থন করছিল।
কারা ছিল এই মুজাহিদীন? শুরুতে মুজাহিদীন কেবল গেরিলা যোদ্ধা ছিল যারা পাহাড়ে লুকিয়ে থাকার সময় যুদ্ধ করেছিল। পরবর্তীতে এরা এতই সমর্থন পায় যে তাদের কাছে অস্ত্রসহ বিমান বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। একারণে সোভিয়েত ইউনিয়ন কিছুটা আতংকিত হতে শুরু করে।
১৯৮৮ সালে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হলেন মোহাম্মদ নজিবুল্লাহ। তিনি ক্ষমতায় এসেই পাকিস্তানের সঙ্গে জেনেভা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন যা মূলত একটি শান্তি চুক্তি ছিল। শান্তি চুক্তির গ্যারান্টর হিসেবে ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকা। এমনকি আমেরিকা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে যদি সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করে,
তখন যুক্তরাষ্ট্র মুজাহিদিনদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিবে। অবশেষে ৯ বছর পর, ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করে দেশটি ত্যাগ করে। নাজিবুল্লাহ এভাবেই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে থাকেন। তিনি তার ক্ষমতা কমিয়ে ১৯৮৭ সালে আফগানিস্তানের জন্য একটি নতুন সংবিধান নিয়ে আসেন। আফগানিস্তান একদলীয় রাষ্ট্র বন্ধ করে দেন তৎকালীন অন্যান্য কমিউনিস্ট দেশের মতো। ১৯৮৮ সালে নতুন সংসদ নির্বাচন আয়োজন করেন যেখানে অন্যান্য দলও প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিল। তবে সে নির্বাচনে নজিবুল্লাহর দলই পিডিপিএ-এর জয়ী হয়। ১৯৯০ সালে আফগানিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে কমিউনিজমের সমস্ত রেফারেন্স মুছে ফেলা হয়। নজিবুল্লাহ দেশের ধর্মীয় রক্ষণশীল মানুষকে তুষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন যেন দেশের শান্তি বজায় থাকে।
তবে এত কিছুর পরও আমেরিকা মুজাহিদিনদের অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছিল যার ফলশ্রুতিতে মুজাহিদীন গোষ্ঠী একটুও পিছপা হয় না। তারা নির্বাচন বর্জন করে এবং এত কিছুর পরও তারা মনে করছিল ইসলাম এখনও বিপদে আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গৃহযুদ্ধ চলতে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিদেশী সাহায্য পাঠিয়ে নাজিবুল্লাহকে সাহায্য করার চেষ্টা করে কিন্তু এতে কোনো লাভ হয় না। আর এভাবেই ১৯৯২ সালে মুজাহিদিন এই গৃহযুদ্ধে জয়ী হয়। তবে যদি মুজাহিদিনদের কথা বলি, এরা একটি ইসলামপন্থী দল হলেও এটি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের দ্বারা গঠিত হয়েছিল এবং এর মধ্যেও ক্ষমতার লোভী মানুষ ছিল অনেক। ক্ষমতার জন্য মুজাহিদিন গ্রুপের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে যায় এবং ১৯৯২ সালে বুরহানউদ্দিন রাব্বানী ক্ষমতায় আসে এবং তিনি ইসলামিক স্টেট অফ আফগানিস্তানের নতুন নেতা হন।
পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে একটি নতুন শত্রু উত্থিত হয়েছিল যাদের নিয়েই সকল আলোচনা। এদের বলা হয় তালেবান। ১৯৯৬ সালে তালেবান এই ইসলামপন্থী মুজাহিদিন নেতাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু কারা এই তালিবান? পশতুন ভাষায় ‘তালিবান’ মানে ছাত্র। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় যে তালিবান গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন মোল্লা ওমর। তিনি ৫০ জন ছাত্র নিয়ে এই গ্রুপটি গঠন করেছিলেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কিছু আফগানী শরণার্থী পাকিস্তানে ফিরে আসে এবং তারাও পরে এই দলের একটি অংশ হয়ে ওঠে। এরা মুজাহিদিনদের তুলনায় আরও বেশি ধর্মীয় উগ্রবাদী এবং চরম ডানপন্থী মানুষ। এই আফগান শরণার্থীরা পাকিস্তানের কিছু স্কুলে এই চরমপন্থা শিখেছিল। মুজাহিদিনদের মধ্যে যেমনটা নৃগোষ্ঠীর অনেক উপদল ছিল, তালেবানরা কিন্তু ইসলামপন্থী হওয়ার পাশাপাশি পশতুন জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাসী ছিল। তালেবানকে পাকিস্তান ও সৌদি আরব সমর্থন করেছিল এবং বলা হয় যে আমেরিকাই তালেবানকে তৈরি করেছে। ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তালেবান সফলভাবে কাবুল দখল করে আফগানিস্তানকে ইসলামিক আমিরাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। শুরুতে, তালিবানরা প্রকৃতপক্ষে আফগানিস্তানের কিছু এলাকা শান্তিপূর্ণ করে তুলেছিল। এতে সাধারণ মানুষ তালেবানকে সমর্থনই করা শুরু করে কারণ তারা শেষ পর্যন্ত দেশে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তালেবানের রক্ষণশীল মতাদর্শ সামনে এসেছিল
আর সাধারণ মানুষও এর আভাস পায়। তালেবান আফগানিস্তানের অনেক কিছুই নিষিদ্ধ করা শুরু করে। নিষিদ্ধ জিনিসের তালিকা এতটাই দীর্ঘ যে দেখার পর আপনি অবাক হয়ে যাবেন। তালিকায় আছেঃ সিনেমা, টিভি, গান, VCR, ফুটবল, চেস, পেইন্টিং, ফটোগ্রাফি, বিদেশী, এনজিও, ইন্টারনেট এমনকি ১০ বছরের উপরের মেয়েদের শিক্ষাও বন্ধ করে দেয়। তালেবানের শাসনে আমলে পুরুষদের বাধ্যতামূলকভাবে দাড়ি রাখতে হয়েছিল। আর মহিলাদের বোরকাতে শরীর ডেকে রাখতে হতো। কোনো পুরুষ আত্মীয়ের ছাড়া মহিলারা একা ঘর থেকে বের হতে পারতেন। তালেবান পশতুন মতাদর্শের আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন বলে অ-পশতুন জাতিগোষ্ঠী জাতিদের উপর নির্মূলের অত্যাচার শুরু করা হয়। এভাবে হাজার হাজার অ-পশতুন মুসলমানকে হত্যা করে তালেবান। হিন্দুদের ব্যাজ দেওয়া হয় যাতে তারা মুসলমানদের থেকে আলাদা হতে পারে। আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বুদ্ধের মূর্তিও তালেবানরা ধ্বংস করে ফেলেছিল।
বিশ্বজুড়ে সকল সরকার এবং জনগণ এই সব ঘটনা দেখে তালেবানদের নিয়ে সমালোচনা শুরু করুন। কিন্তু তিনটি দেশ ছিল যারা তালেবানকে তখন বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশগুলো ছিল: পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। তালেবানদের বিপক্ষে নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে কিছু মুজাহিদিন বাহিনী লড়াই করার চেষ্টা করে। এটি উত্তর জোট নামে পরিচিত এবং আহমদ শাহ মাসুদ ছিলেন তাদের প্রধান। কিন্তু ২০০১ সালে উত্তর জোট এই লড়াই হেরে যায় এবং আহমদ শাহ মাসুদকেও হত্যা করা হয়। এই ঘটনার মাত্র ২ দিন পরেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়েদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলা পরিচালনা করে যা পুরো বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। সে সময় আল কায়েদার নেতা ছিলেন সৌদি সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেন। তালেবান মূলত ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিতে সাহায্য করেছে। ওসামা বিন লাদেন তার আমেরিকাকে একটি চিঠি লেখেন যেখানে তিনি লিখেছেন যে ৯/১১ হামলা একটি প্রতিশোধ ছিল সোমালিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তানের মতো দেশে আমেরিকা যা করছিল। তাই আমেরিকা আবারও আফগানিস্তানে তার বাহিনী পাঠায়। আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালানো শুর করে যেখানে তারা মনে করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লুকিয়ে আছে। মুজাহিদিনের উত্তর জোটের সমর্থনে ২০০১ সালের ডিসেম্বর এর মধ্যে তালেবানকে আমেরিকা সম্পূর্ণভাবে পিছিয়ে দেয়। আহমদ শাহ মাসুদের সাহায্য হামিদ কারজাই নতুন রাষ্ট্রপতি হন। আফগানিস্তানে আবারও একটি নতুন সংবিধান গৃহীত হয়। কিন্তু তাও তালেবানদের আস্তানা নির্মূল করতে আমেরিকা পাকিস্তানে বোমা হামলা ও বিমান হামলা চালিয়ে যায়। ২০১১ সালে আমেরিকান বাহিনীর হাতে ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। ২০১৫ সালে দেখা গেছে তালেবানের প্রথম এবং মূল নেতা মোল্লা ওমর এর ব্যপারে সন্ধান পাওয়া যায় যে সে ২০১৩ সালেই অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছিলেন।
এসবের মধ্য দিয়েই তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে এবং আফগানিস্তানে শান্তি বজায় রাখাতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা মোতায়ন করে। উপরন্তু আফগানিস্তানের নতুন গণতান্ত্রিক সরকারকেও সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও তালেবান নিশ্চিহ্ন হয়নি। দেশের এবং প্রতিবেশী দেশগুলির বিভিন্ন এলাকায় তালিবানরা গুলি ও বোমা হামলা চালাতে থাকে যেখানে শত শত বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হয়ে তালেবানদের সাথে শান্তি আলোচনা শুরু করেন। আমেরিকা শর্ত দেয় যে তালেবান যদি আল কায়েদার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তখন আমেরিকা তার বাহিনী প্রত্যাহার করে আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। তবে এসকল যুদ্ধে আমেরিকা ২ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে যা বিরুদ্ধে ছিল আমেরিকানরাও। আমেরিকানরা প্রশ্ন করেছিল কেন তারা এমন যুদ্ধ করছে যা তাদের নয়?
২০২১ সালে তালেবান এখন তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থায় আছে যেখানে ৮৫,০০০ এরও বেশি যোদ্ধা তালেবানদের জন্য লড়াই করছে। এখন জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি অব্যাহত রেখেছেন এবং আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। তাও আবার ৯/১১ এর ২০তম বার্ষিকীর আগে।
এভাবেই তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিয়ে নিলেও কেমন হবে তাদের সমাজ ব্যবস্থা তা বলা মুশকিল। তবে আফগানিস্তানের ইতিহাস এবং তালিবানের উত্থান দেখে বুঝা যায় যে আফগানিস্তান এক বৈচিত্র্যের মতামতের একটি শিক্ষণীয় পাঠ। আমরা যদি নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করতে চাই আমাদের কাছে হাজার হাজার অজুহাত থাকবে। বিভিন্ন জাতি, ভিন্ন মতাদর্শ, সাম্যবাদ বা ভিন্ন ধর্ম সকল সমাজেই থাকে। কিন্তু যদি আমরা সত্য অর্থে শান্তি পেতে চাই, যদি বিশ্বে শান্তিতে বসবাস করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের একে অপরকে গ্রহণ করতে শিখতে হবে।