সিরিজ জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা
স্পোর্টস ডেস্ক : সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৩১৯ রানের চ্যালেঞ্জ। কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলার সেঞ্চুরিতে সেই চ্যালেঞ্জ জিতে প্রোটিয়াদের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু। পরে চতুর্থ ম্যাচ জয়ের পর রোববার শেষ ম্যাচটাও ৫ উইকেটে জিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি ৩-২ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কেপ টাউনে শেষ ম্যাচটি ছিল ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির ম্যাচ। পাঁচ ম্যাচ বা তার বেশি ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে হারের পরও সিরিজ জয়ের উদাহরণ ছিল মাত্র ৩টি। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-২-এ সিরিজ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাই প্রথম গড়েছিল এমন কীর্তি। ১৩ বছর পর কীর্তিটা আবার গড়ল প্রোটিয়ারা। এ ছাড়া ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে ৩-২ ব্যবধানে বাংলাদেশ, একই বছর ভারতকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স নিজেই। তার অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের করা ২৩৬ রান ৪৪ ওভারে টপকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কাজটা যদিও অনেক কঠিন ছিল প্রোটিয়া অধিনায়কের জন্য। ২৩৭ রান তাড়া করতে নেমে ২২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। দলের এমন বিপদের সময়ই উইকেটে আসেন ডি ভিলিয়ার্স।
চতুর্থ উইকেটে হাশিম আমলাকে নিয়ে ১৩৪ বলে ১২৫ রানের বড় জুটি গড়েন ডি ভিলিয়ার্স। এই জুটিই মূলত ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেয়। যদিও ১৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ডেভিড ভিসের সঙ্গে ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছাড়েন ডি ভিলিয়ার্স। ৯৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ১০১ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ভিসে অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। আর আমলা ৫৯ রান করে আউট হন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। একমাত্র ওপেনার অ্যালেক্স হেলস বুক চিতিয়ে উইকেটে টিকে ছিলেন। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ১১২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন হেলস। আর তার সেঞ্চুরিতেই ২৩৬ রানের পুঁজি পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু বৃথা গেল হেলসের সেঞ্চুরি। আগের দুই ম্যাচে জো রুটের সেঞ্চুরির পরও হেরেছিল ইংল্যান্ড। এবার হেলসের ক্ষেত্রেও সেটার পুনরাবৃত্তি হলো। সেঞ্চুরির পরও দল হারলে সেঞ্চুরি করেই-বা কী লাভ!