তাসকিনের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান মাশরাফির
- স্পোর্টস ডেস্ক
তাসকিনের বোলিং অ্যাকশনে কোনো ত্রুটি ছিলনা। এর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন টাইগার দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম আইসিসি তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহ দেয়। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এ ব্যাপারে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’
আজ (২০ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশের স্পিনার আরাফাত সানি ও পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি থাকায় তাদের সাময়িকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এর একদিন পরই মাশরাফি মুখ খুললেন। তিনি আরও জানান, তাসকিন এবং সানির জন্য পুরো দলের ছন্দ চলে গেছে। পুরো দল এখন আপসেট।
তাসকিনের রিপোর্টের সঙ্গে আইসিসির সিদ্ধান্তের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। যে ম্যাচে (নেদারল্যান্ডস) তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়াররা উদ্বেগ প্রকাশ করেন সেই ম্যাচে তাসকিনের কোনো নির্দিষ্ট ডেলিভারির কথা তারা সন্দেহজনক হিসেবে জানাননি। কিন্তু তাকে অবৈধ বলা হয়েছে একটি নির্দিষ্ট ডেলিভারির জন্য।
রিপোর্টে বলা আছে, তাসকিনের শুধু বাউন্সারে সমস্যা ছিলো। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, যে ম্যাচে তাসকিনের বোলিং নিয়ে সন্দেহ করা হয়েছিল সেই ম্যাচে তিনি কোনো বাউন্সারই দেননি! চেন্নাইতে পরীক্ষাগারে মাত্র ৩ মিনিটে ৯টি বাউন্স দিতে বলা হয় তাকে। যেখানে তিনটিতে সমস্যা ধরা পড়ে বলের গতি কম হয়ে যাওয়ার কারণে। তাসকিনের দেওয়া স্পট ডেলিভারি ও ইয়র্কারেও কোনো সমস্যা পাননি বায়োম্যাকানিক্যাল পরীক্ষকরা।
এ প্রসঙ্গে মাশরাফি জানান, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাসকিনের বলে সন্দেহ করার মতো কোনো বিষয় ছিলনা। সে নিজের স্বাভাবিক বলটিই করেছে। আমার বিশ্বাস সে ম্যাচে তাসকিন কোনোভাবেই অবৈধ ডেলিভারি দেয়নি। এটাও বিশ্বাস করি তার বোলিংয়ে কোনো ত্রুটি নেই।
সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি আরও জানান, আমরা শুনেছি পরীক্ষার মাধ্যমে তাসকিনের অ্যাকশনে এমন অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি। তারপরও কেন তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে? এর উত্তর আমার জানা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, তাসকিনের প্রতি সুবিচার করা হয়নি।
এদিকে, আইসিসির এই সিদ্ধান্তটাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) ভালো চোখে দেখেছে না। বোর্ডের একটি সূত্র মতে, তাসকিন ইস্যুতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ চাওয়ার পরিকল্পনা করছে বোর্ড।