মিরপুরের উইকেটই কি কাল হলো?
- আসিফ হাসান
বিশ্বকাপে বাছাই পর্ব থেকে শুরু করে মোট ৮ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২টি। বাছাই পর্বে পাপুয়ানিউগিনি ও ওমানের বিপক্ষে জিতলেও হারতে হয় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। সুপার টুয়েলভে ৫ ম্যাচের ৫ টিতেই হার বাংলাদেশের।
বোলিংয়ে শতভাগ দিতে পারলেও ফিল্ডিংয়ে ১৭ টা ক্যাচ মিস এবং ব্যাটিংয়ে পুরো ব্যার্থ বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। এর পেছনে পুরো সমালোচনা মিরপুরের স্লো উইকেটে খেলা নিয়ে। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় কী কাজে আসলো বাংলাদেশ দলের? স্লো উইকেটে ব্যাটসম্যানদের রান খড়া সাথে পেসারদের বাজে পারর্ফম্যান্সই মূলত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের এমন পারর্ফম্যান্সের মূল কারণ।
সাকিব আল হাসান অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পরে তো বলেই ফেলেছেন ‘এমন উইকেটে ১০-১২টা ম্যাচ কোনো ব্যাটসম্যান খেললে তার ক্যারিয়ার ওখানেই শেষ হয়ে যেতে পারে।’ পারর্ফম্যান্সও তাই বলে। ওপেনার থেকে মিডল অর্ডার কিংবা ফিনিসার কেউই বলার মতো কোনো রান করতে পারেনি।
বিশ্বকাপেও দলের ব্যাটিংয়ে হাল ধরতে পারেনি কোনো ব্যাটসম্যান। দেখা যাক ৮ ম্যাচে দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের রান:
লিটন কুমার দাস :
৮ ইনিংসে ১৩৩ রান , গড় ১৬.৬২, স্ট্রাইক রেট ৯৪.৩২
মোহাম্মদ নাঈম শেখ :
৭ ইনিংসে ১৭৪ রান, গড় ২৪.৮৫, স্ট্রাইক রেট ১১০.৮২
সৌম্য সরকার :
৪ ইনিংসে ২৭ রান, গড় ৬.৭৫, স্ট্রাইক রেট ১০০
সাকিব আল হাসান :
৬ ইনিংসে ১৩১ রান, গড় ২১.৮১, স্ট্রাইক রেট ১০৯.১৬
মুশফিকুর রহিম :
৮ ইনিংসে ১৪৪ রান, গড় ২০.৫৭, স্ট্রাইক রেট ১১৩.৩৮
মাহমুদউল্লাহ :
৮ ইনিংসে ১৬৯ রান, গড় ২৮.১৬, স্ট্রাইক রেট ১২০.৭১
আফিফ হোসেন :
৮ ইনিংসে ৫৪ রান , গড় ৭.৭১, স্ট্রাইক রেট ১০৮
শেখ মেহেদি হাসান :
৬ ইনিংসে ৫৩ রান, গড় ১৩.২৫, স্ট্রাইক রেট ১১০.৪১
নুরুল হাসান সোহান :
৪ ইনিংসে রান ২১, গড় ৫.২৫, স্ট্রাইক রেট ৮০.৭৬
শুধু কি ব্যাটসম্যানরাই রানের খরায় ভুগেছেন? পেসারদের মধ্যে তাসকিন ও শরিফুল বলার মতো ভালো করেছেন। তবে এ নিয়েও আছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের নানা কথা। গতম্যাচে তাসকিন ১৫০ কিলোমিটার গতি তোলার পরে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশের স্পিন উইকেটে তাসকিন রেগুলার খেললে যে কোনো সময় ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে। ওর উচিত দেশের বাইরে বেশি বেশি ম্যাচ খেলা। তাসকিনের আরোও গতি তোলার সামর্থ আছে, ওর জন্মই হয়েছে পেস বোলিং এর জন্য।’
এসব সমালোচনার জবাব কীভাবে দিবে বাংলাদেশ দল? অধিনায়ক রিয়াদ তো প্রেস কনফারেন্সে বলেই দিয়েছেন ‘আমার কিছুই বলার নাই’। নিশ্চুপ রিয়াদের কি বা বলার থাকবে এখানে?