মরিনহো বরখাস্ত
স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে গুঞ্জনটাই সত্যি হল। ক্রমাগত ব্যর্থতার দায়ে চাকরিচ্যুত হতে হলো চেলসি বস হোসে মরিনহোকে। গতকাল (১৭ ডিসেম্বর) স্ব-ঘোষিত স্পেশাল ওয়ান এই কোচকে বরখাস্ত করে চেলসি কর্তৃপক্ষ। ২০০৪ সালে প্রথম বারের মতো ব্লুজদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মরিনহো। ২০০৭ এ সেই দায়িত্ব ছাড়ার পর, দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৩ সালে আবারো চেলসির কোচ হয়েছিলেন তিনি।
আই এম দি স্পেশাল ওয়ান! ২০০৪ সালে চেলসির দায়িত্ব নিয়ে এমন দাম্ভিক উক্তি দিয়েই ব্লুজদের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মরিনহো। অবশ্য নিজের ঝুলিতে যথেষ্ট অর্জন নিয়েই এমন দম্ভ করেছিলেন হোসে। তবে সময়ের ব্যবধানে এবার মুদ্রার উল্টো পিঠই দেখতে হলো মরিনহোকে। ২০০০ সালে বেনফিকার হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করলেও মরিনহো প্রথম সফলতা পান এফসি পর্তোর হয়ে। দুটি লিগ শিরোপা উপহার দেয়ার পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও জেতেন মরিনহো।
২০০৪ সালে চেলসিতে যোগ দেন মরিনহো। সেখানেও অব্যাহত থাকে এই স্পেশাল ওয়ানের সাফল্যের ধারাবাহিকতা। ব্লুজদের হয়ে জেতেন টানা দুটি লিগ শিরোপা। শুধু তাই নয়, মরিনহোর অধীনেই ২০০৫-০৬ মৌসুমে সর্বোচ্চ ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টাইটেল জেতে চেলসি। তবে ২০০৬-০৭ মৌসুমে লিগ শিরোপা জয়ে ব্যর্থ হয়ে ইতালি পাড়ি জমান মরিনহো।
২০০৮ সালে ইন্টার মিলানে যোগ দিয়ে মাত্র তিন মাসেই দলকে সুপার কোপা জেতান মরিনহো। আর বছর শেষে নেরাজ্জুরিদের উপহার দেন লিগ টাইটেল। তবে মরিনহো সে সফলতাও ছাপিয়ে যান পরের মৌসুমে। তার অধীনেই এই দুই ট্রফি সহ ইউরোপ সেরা হয়ে প্রথম ইতালিয়ান ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জেতে ইন্টার মিলান। যার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১০-এ প্রথমবারের মত ফিফা বর্ষসেরা কোচের খেতাব পান মরিনহো।
সেই বছরই রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন ৫২ বছর বয়সী এই কোচ। তবে স্পেনে খুব একটা সফল ছিলেন না মরিনহো। ২০১৩ সালে রিয়াল ছাড়ার আগে এই স্পেশাল ওয়ানের অর্জনের ঝুলিতে ছিল একটি কোপা দেল রে ও লা লিগা।
২০১৩ সালে আবারো চেলসিতে ফেরেন মরিনহো। আর পরের মৌসুমেই দলকে উপহার দেন লিগ শিরোপা। তবে চলতি মৌসুমে চেলসি টানা ব্যর্থতার মধ্যে থাকলে গুঞ্জন উঠে মরিনহোর চাকরি খোয়ানোর।
সব শেষ ঘরের মাটিতে লিচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হেরে ব্লুজরা রেলিগেশনের শঙ্কায় পড়লে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করে মরিনহোকে।