ইতিহাস গড়ল বার্সা
স্পোর্টস ডেস্ক : ফাইনালে আর্জেন্টিনার ক্লাব রিভারপ্লেটকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতেছে ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাব বার্সেলোনা। এর আগে সবচেয়ে বেশি, দুটি ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের রেকর্ড এত দিন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ানসের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে হচ্ছিল বার্সেলোনাকে। তবে এবার এই রেকর্ডের পাশে এককভাবেই লেখা হবে কাতালানদের নাম।
২০১১ সালে শেষবার বার্সেলোনা যখন ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল তখন মেসি আর নেইমার ছিলেন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। মেসির বার্সেলোনা খেলেছিল নেইমারের সান্তোসের বিপক্ষে। এবার দুজনই লড়েছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। সঙ্গে লুইস সুয়ারেজও জ্বলে উঠেছিলেন দারুণভাবে। সেমিফাইনালে হ্যাটট্রিক করার পর ফাইনালে সুয়ারেজ করেছেন জোড়া গোল। বার্সার অপর গোলটি করেছেন মেসি।
৩৬ মিনিটের মাথায় বার্সার প্রথম গোলটি এসেছিল মেসি-নেইমারের দারুণ সমন্বয়ের ফসল হিসেবে। নেইমারের হেড থেকে বল পেয়ে সেটা জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি আর্জেন্টাইন তারকার। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ৪৯ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন সুয়ারেজ। ৬৮ মিনিটে সুয়ারেজের দ্বিতীয় গোলের নেপথ্য কারিগরও নেইমার। তাঁর ক্রস থেকে দারুণভাবে হেড করে বল জালে জড়িয়েছেন সুয়ারেজ।
গত মৌসুমে ট্রেবল জয়ের পর এবারের মৌসুমের শুরুতেই বার্সা জিতেছিল উয়েফা সুপার কাপ। স্প্যানিশ সুপার কাপে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে হারের মুখ না দেখতে হলে ২০০৯ সালের মতো এক বছরে ছয়টি শিরোপা জয়ের অনন্য রেকর্ড আবার গড়তে পারত কাতালানরা। সব মিলিয়ে এ বছর বার্সা জিতেছে মোট পাঁচটি শিরোপা।