বার্সার গোল বন্যা
স্পোর্টস ডেস্ক : আগের ম্যাচেই গোল পেয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের ত্রিরত্ন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেল। তাহলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার আক্রমণভাগের ত্রিফলা লিওনেল মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেজই-বা কম যাবেন কেন? বরং রিয়ালের ‘বিবিসি’র চেয়ে কাতালানদের ‘এমএসএন’ ত্রয়ী এক ধাপ এগিয়েই। রোববার রাতে সুয়ারেজের হ্যাটট্রিক আর মেসি, নেইমার ও ইভান রাকিটিচের একটি করে গোলে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এ নিয়ে লা লিগায় বিলবাওয়ের বিপক্ষে টানা ১২ ম্যাচ জিতল কাতালান ক্লাবটি।
ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচ শুরুর আগেই আনন্দের একটা উপলক্ষ ছিল বার্সেলোনার সমর্থকদের জন্য। তুমুল করতালির মধ্যে সম্প্রতি জেতা পঞ্চম ব্যালন ডি’অর প্রদর্শন করেন দলের সেরা তারকা মেসি। আর ম্যাচ শুরুর একটু পরে গোলও পেয়ে যান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। চতুর্থ মিনিটে বক্সের ভেতর সুয়ারেজকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন বিলবাওয়ের গোলরক্ষক গোরকা ইরাইজোজ। পেনাল্টি থেকে বদলি গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে গোল করতে কোনো সমস্যাই হয়নি মেসির। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া বিলবাওয়ের অর্ধে আক্রমণে আরো ধার বাড়ায় বার্সা। গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়নি স্বাগতিকদের। ৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। অবশ্য এই গোলে সুয়ারেজের অবদানও কম নয়। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বাঁ দিকে দারুণভাবে বল বাড়িয়েছিলেন উরুগুইয়ান তারকা। ব্রাজিল অধিনায়কের দারুণ চিপ অতিথিদের জাল খুঁজে নেয়।
পায়ে ব্যথার কারণে দ্বিতীয়ার্ধে আর মাঠে নামেননি মেসি। তবে তাতেও বার্সার আক্রমণে ধার কমেনি, বরং বেড়েই যায়। ৪৭ মিনিটে স্বাগতিকদের ৩-০ গোলে এগিয় দেন সুয়ারেজ। আগের গোলে নেইমারকে সহায়তা করেছিলেন তিনি। এবার তাকে গোল করতে সহায়তা করেছেন ওই নেইমারই। সুয়ারেজের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে দারুণভাবে নেইমার বল পাঠিয়েছিলেন ডি-বক্সে। বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের। ম্যাচের ৬২ মিনিটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার রাকিটিচ। তার গোলেও সহায়তা করেছেন নেইমার। এরপর ৬৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল আর ৮৩ মিনিটে বিলবাওয়ের জালে আরেকবার বল জড়িয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সুয়ারেজ। শেষ পর্যন্ত তাই বার্সাও পায় ৬-০ গোলের বিশাল জয়।
এই জয়ে ১৯ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা। আগের ম্যাচে লাস পালমাসকে ৩-০ গোলে হারানো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২০ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। আর স্পোর্টিং গিজনকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া রিয়াল মাদ্রিদ ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে।