এগিয়ে গেল বার্সালোনা
স্পোর্টস ডেস্ক : গোল করেই চলেছেন লুইস সুয়ারেজ। এক ম্যাচ পর গোল পেলেন লিওনেল মেসিও। তাতে বার্সেলোনাও পেল দুর্দান্ত এক জয়। পিছিয়ে পড়েও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে তিন পয়েন্ট এগিয়ে গেছে লুইস এনরিকের দল।
শনিবার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার শুরুটা ছিল হতাশার। ম্যাচের ১০ মিনিটেই কোকের গোলে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। ডান দিক থেকে সাউল নিগুয়েজের দারুণ এক ক্রস ফাঁকায় পেয়ে যান কোকে। জোরালো শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। শুরুতেই গোল খেয়ে আক্রমণে ধার বাড়ায় বার্সা। তবে অ্যাটলেটিকোও পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে। ২০ মিনিটে লিড দ্বিগুণও হতে পারতো অতিথিদের। বক্সের সামনে থেকে অগাস্তো ফার্নান্দেজের জোরালো একটি শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। পরের টানা দশ মিনিট একের পর এক আক্রমণ চালায় বার্সা। ৩০ মিনিটে গিয়ে আসে সফলতাও। স্বাগতিকদের ১-১ সমতায় ফেরান দলের সেরা তারকা মেসি। বাম প্রান্ত থেকে নেইমার বল বড়ান জর্দি আলবাকে। আলবার থেকে বল আসে মেসির পায়ে। কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড।এরপর এগিয়ে যেতেও বেশি সময় লাগেনি বার্সার। আট মিনিট পরেই স্বাগতিকদের ২-১ গোলে এগিয়ে দেন সুয়ারেজ। প্রায় মাঝমাঠ থেকে লম্বা করে বল বাড়ান ডান আলভেজ।
অ্যাটলেটিকোর এক ডিফেন্ডারের সঙ্গে লড়াই করে গোলরক্ষক ওবলাকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সুয়ারেজের এটা ৩১তম গোল। বিরতিতে যাওয়ার আগে মেসিকে বাজেভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অ্যাটলেটিকোর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফিলিপে লুইস। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় অতিথি দলটি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় অ্যাটলেটিকো।
৫৮ মিনিটে ফেরেইরা ক্যারেসোর উঁচু ক্রসে পা উঁচিয়ে বল জালের দিকে পাঠিয়েছিলেন গ্রিজমান। কিন্তু উল্টোদিকে ঝাঁপানো বার্সা গোলরক্ষক ক্লাদিও ব্রাভোর পায়ে লেগে বল চলে যায় বাইরে। ৬৫ মিনিটে অবশ্য অ্যাটলেটিকোর সব আশাই শেষ হয়ে যায়। সুয়ারেজকে অযথা ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তারই স্বদেশী দিয়েগো গডিন। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি অ্যাটলেটিকো। ৯ জনের দল পেয়ে বার্সাও আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। এই জয়ে ২১ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট হলো ৫১। এক ম্যাচ বেশি খেলা অ্যাটলেটিকোর ৪৮ পয়েন্ট।