অধরা রয়ে গেল নিউজিল্যান্ড বধ
- তৌহিদুল ইসলাম
ব্যাট হাতে সমালোচকের জবাবটা ভালই দিলেন সাব্বির রহমান তবে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের হারাতে না পারার আপেক্ষাটা দীর্ঘ থেকে হলো দীর্ঘতর। ফলাফল বাংলাদেশের হার ৮৮ রানে। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৩০ নিউজিল্যান্ডের বোর্ডে। ৩৩১রানের পাহাড় টপকাতে শুরুতে টপওর্ডার ব্যর্থ। দলীয় ৭৫ রানের মাথায় নেই ৫ উইকেট। অধরা স্বপ্ন ম্লান ওই খানেই। ব্যর্থতার মাঝে যতটুকু প্রতিরোধ সাইফুদ্দিন আর সাব্বিরের ব্যাটে। ‘ইতিবাচক’ বলতে এটুকু। স্কোরবোর্ড ২ রান না উঠতেই আউট হয়ে সাজঘরে তামিম, লিটন, সৌম। নেপিয়ার থেকে ক্রাইস্টচার্চের প্রথম দুটি ওয়ানডের মতো তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যার্থ ওরা। নিজেরা যেন রান খড়ায় ভুগেছে তেমনি দলকেও ভুগিয়েছে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই টিম সাউদির বলে উইকেটকিপার টম ল্যাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান ওপেনার তামিম। দুই বল পর তাঁর দেখাদেখি ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন সৌম্য সরকারও, সাউদির বলে বোল্ড হয়ে। ট্রেন্ট বোল্টের করা দ্বিতীয় ওভারটা কোনোভাবে সামাল দিতে পারলেও নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এসেই আরেক ওপেনার লিটন দাসকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন সৌদি। শূন্য রানে আউট হওয়া তামিম ও সৌম্যর চেয়ে এক রান বেশি করেছেন।
এ নিয়ে সিরিজের তিন ওয়ানডেতে টানা তিনবার এক রান করে আউট হলেন লিটন। ধুকতে থাকা দলকে টানতে শুরু করেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। তবে ৮ ওভারের বেশি নিতে টিকতে পারে নি। বোল্টের বলে কলিন মানরোর হাতে ক্যাচ দিয়ে যখন সাজঘরের পথে মুশি তখন স্কোরবোর্ড পাশ মার্ক থেকে একটু বেশি রান ৪০। মাহমুদউল্লাহও স্থায়ী হতে পারেনি। মাহমুদউল্লাহর আউটের পর সাইফউদ্দিনকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকেন সাব্বির। ১০১ রানের এই জুটি শুধু ব্যাবধানই কমিয়েছে। এরপর মাশরাফি মেহেদী হাসান ,রুবেল কিন্তু রানের চাকা রান-রেটের তুলনায় সচল করতে পারেননি। সবকিছু ছাপিয়ে অর্জন সাব্বিরের শতক। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সিরিজের আগে হাজারো সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হওয়া এই ক্রিকেটার। প্রতিটি শর্টে ছিল রান করার তাড়না । সাব্বিরের সেঞ্চুরি হওয়ার পরপরই সাউদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মেহেদি। পরের দুটি উইকেট পেতে বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। স্যান্টনার/সাউদির নৈপুণ্যে রান আউট হন রুবেল হোসেন। আর ইনিংসের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাউদির বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন সাব্বির। ১১০ বল খেলে ১২টা চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি ১০২ রানের। বাংলাদেশ হারে ৮৮ রানে।