টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অবসর নিতে চেয়েছিলেন তামিম
- আসিফ হাসান
তামিম ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সেরা ওপেনার এবং সফল ক্রিকেটার। তিন ফর্মেটেই তিনি গত ১৫ বছর বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছেন। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান, সেঞ্চুরি, ফিফটি সবই তামিমের। ১৫ বছরে ভিন্ন ভিন্ন ২৫ জন ওপেনারের সাথে ব্যাটিং করলেও তৈরি হয়নি তামিমের বিকল্প।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে এখনও দলের ওপেনিংয়ের দায়িত্ব সামাল দেওয়া তামিম গত দেড় বছর ধরে অজানা কারণে খেলেননি কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দল বিশ্বকাপের বিমান ধরলেও তার কিছুদিন আগে জানান, তিনি খেলবেন না এই বিশ্বকাপ। পেছনের কারণ যেমন তিনি খোলাসা করেননি তেমনি অন্য দুই ফর্মেট খেললেও তামিমের ভাবনাতে নেই টি-টোয়েন্টি। ক্যারিয়ারের প্রথমবার মিস করছেন আইসিসির কোনো আসর।
এ নিয়ে তামিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক ভিডিও বার্তায় বলেন ‘আমি অনেকদিন ধরেই এই ফর্মেট খেলছি না, তাই হঠাৎ করে টিমে ঢুকে তরুণ করো জায়গা নষ্ট করতে চাই না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিশ্বকাপ আমি খেলব না।’ এ প্রসঙ্গে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের সাথেও কথা হয়েছে বলে জানান ওয়ানডে কাপ্তান।
তবে বর্তমানে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ৭১ টিভিতে চলছে তামিমের নিজের নামে একটি প্রোগ্রাম। সেখানে বাংলাদেশের ম্যাচের পরে থাকছেন তামিম নিজেই। ‘দ্যা তামিম ইকবাল শো’ এর দ্বিতীয় এপিসোডে বিশ্বকাপ না খেলা প্রসঙ্গে তামিম বলেন ‘আমার না খেলার পেছনে আরও কিছু কারণ আছে। সেগুলো এখন না, পরে কখনও হয়তো বলব।’
তার এই বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় ক্রিকেট পাড়া। হঠাৎ কী হলো তামিমের? এর আগে ক্রিড়া সংবাদিক উৎপল শুভ্রর এক নিবন্ধ পাওয়া যায় ‘অধিনায়ক রিয়াদের ভাবনায় নেই তামিম ইকবাল। তবে দেখা যায় তামিম সবচেয়ে সফল রিয়াদের অধিনায়কত্বে। ৭ ম্যাচে ৩৫ গড়ে রান করার পাশাপাশি স্টাইকরেট ছিলো ১৩০ এর কাছাকাছি। যেখানে অন্য ওপেনাররা তার ধারেকাছেও নেই। এমনকি লাস্ট তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তামিমের রয়েছে ২ টা ফিফটি। যার ২ টাতেই জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জয়ী লাস্ট ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তামিমের গড় ৫৮ স্টাইকরেট দেড়শোর কাছাকাছি। যেখানে তামিমের স্টাইকরেট নিয়েই এত প্রশ্ন, গত ২ বছর সেখানে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছেন এই ড্যাশিং ওপেনার।’
তবে সব আলোচনা-সমালোচনায় পানি ঢেলে দিলেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বেসরকারি টিভি সময় টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে বলেন ‘তামিম দেশের সর্বকালের সেরা ওপেনার। তার কোনো বিকল্প নেই, তামিম তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে না এমন না। ও তো বিশ্বকাপের আগে অবসরই নিতে চেয়েছিল। ওর প্রতিটা সিদ্ধান্ত আমার সাথে শেয়ার করেছে। আমি মানা করেছি এমন সময় এমন কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে।’
তবে তামিমের এত অভিমান কিসের? তামিমের বলা ‘হয়তো আরো কিছু কারণ আছে, সেগুলো পরে না হয় কখনও বলব’—এই প্রশ্নের মধ্যেই লুকিয়ে আছে উত্তরটা।