১০ কোটি সিম পুনর্নিবন্ধিত
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক
আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে দেশে এ পর্যন্ত মোট ৯ কোটি ৭০ লাখ মুঠোফোনের সিম নিবন্ধিত হয়েছে। এ সংখ্যা বর্তমানে চালু থাকা মোট ১৩ কোটি ২০ লাখ সিমের ৭৩ শতাংশ। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের অগ্রগতির বিষয়ে গতকাল (২৫ মে) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে বলা হয়, গ্রাহক দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধনের সময়সীমা ৩১ মে পর্যন্ত এক মাস বাড়ানো হয়েছে। এ সময়সীমার মধ্যে যেসব সিম পুনর্নিবন্ধন না হবে, সেগুলো আগামী ১ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাঁদের সিম বিটিআরসির নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ১৮ মাস সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করাতে পারবেন।
বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সম্প্রতি এমন কিছু উদাহরণ পাওয়া গেছে, যেখানে গ্রাহকদের অসাবধানতার সুযোগে কিছু অসাধু খুচরা ব্যবসায়ী (রিটেইলার) জালিয়াতি করার চেষ্টা করেছেন। কিছুদিন আগে আশুলিয়ায় একজন রিটেইলার গ্রাহকের অমনোযোগিতার সুযোগ নিয়ে একাধিক সিম নিবন্ধন করে তা বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করেন।
এমদাদ উল বারি আরও বলেন, সিম নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সচেতনতার বিষয়টিও খুব জরুরি। সিম নিবন্ধনের সময় কতটি নম্বর নিবন্ধন করা হচ্ছে, সে বিষয়ে গ্রাহককে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।
চট্টগ্রামে বিকাশের দুজন এজেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে সিম প্রতিস্থাপন করে অর্থ আত্মসাতের যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেই সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিকাশে গোপন পিন ছাড়া অর্থ লেনদেন করা সম্ভব নয়। গ্রাহকের অসাবধানতার সুযোগে গোপন পিন নম্বরটি এজেন্ট জেনে যাওয়ার ফলেই ওই অর্থ আত্মসাৎ করা সম্ভব হয়েছে। আগে হরহামেশা এমন ঘটনা ঘটলেও প্রতারকদের প্রকৃত পরিচয় না জানার কারণে তাদের ধরা সম্ভব হতো না। এবার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম প্রতিস্থাপন করায় প্রতারকদের ধরা সম্ভব হয়েছে।
২৮৭২ নম্বরে অভিযোগ: গ্রাহকের টেলিযোগাযোগ-সংক্রান্ত অভিযোগ ও সমস্যার সমাধানে একটি চার সংখ্যার শর্টকোড চালু করেছে বিটিআরসি। কল সেন্টারভিত্তিক ২৮৭২ নম্বরের এই শর্টকোডটি চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন কমিশনের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত গ্রাহকেরা তাঁদের মুঠোফোন থেকে এই শর্টকোডে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।’
শর্টকোডটির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রাহককে প্রথমে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাছে অভিযোগ করতে হবে। তাতে কোনো প্রতিকার না পেলে বিটিআরসির এই কল সেন্টারে অভিযোগ করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।