ভ্রাম্যমান প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
- বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক
যাত্রীবাহী গাড়ির মতোই দেখতে। কিন্তু এটি যাত্রী বহন করে না, করে কম্পিউটার। এতে রয়েছে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগও। গ্রামের অনেকে এটিকে বাস না বলে ‘কম্পিউটার গাড়ি’ বলে ডাকে। যুবসমাজকে প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এটি। গাড়িটি বর্তমানে বরগুনার আমতলী উপজেলা ভ্রমণ করছে। এই গাড়িতে বসেই ৪০ জন কম্পিউটার প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণের ব্যতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের।
‘টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডারপ্রিভিলেজড রুরাল ইয়াং পিপলস অব বাংলাদেশ (টেকাব)’ শীর্ষক কারিগরি সহায়তায় প্রকল্প-১ এর আওতায় জেলায় জেলায় চলছে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। গত রোববার থেকে আমতলীতে শুরু হয়েছে এ কর্মসূচি। ওইদিন সকাল ১০টায় ইউটি অ্যান্ড ডিসি হল রুমে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ঢাকার সহকারী পরিচালক মো. সুলতান আহম্মেদ।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে বসে একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বেশ কিছু নারী ও পুরুষ। প্রত্যেকের জন্য দেওয়া হয়েছে একটি ল্যাপটপ। প্রশিক্ষক পারভেজ আহম্মদ ও মাহবুব তাদের কম্পিউটারের সকল মৌলিক বিষয় বোঝাচ্ছেন। শেখাচ্ছেন কীভাবে ইন্টারনেট চালাতে হয়। গাড়িতে বসে হাতে-কলমে কম্পিউটার বিষয়ে কাজ শিখতে পেরে দারুণ উৎফুল্ল তারা।
প্রশিক্ষণ নিতে আসা মিঠু জানান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করব।
এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বেকার যুবকদের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে, যাতে তাদের আর বেকার থাকতে না হয়।
আমতলী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মো. নাজমুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি আমরা। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনগণকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা যাবে।