দেশে উদ্ভাবনের জন্য দরকার নীতিমালা
- বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক
‘দেশের প্রতিটি সেক্টরই তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর। প্রযুক্তিকে আরও উন্নত ও ভালোভাবে কাজে লাগাতে হলে উদ্ভাবনের জন্য একটা নীতিমালা তৈরি করতে হবে।’ গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০১৫’ যুগোপযোগীকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘যদি দেশের মেডিকেল সল্যুশনের কথা বলি, যদি রোড ট্রান্সপোর্টেশনের কথা বলি, এসব কিছুতে এখন নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে। আমাদের এখন দেশের বাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে।’ পলক বলেন, ‘দেশে যেসব নতুন নতুন বিজনেস মডেল আছে, সেগুলোতো আছেই, সেগুলোকে কাস্টমাইজ করা। মূল সমস্যা সমাধানের পথ দেখানো আর সেটা কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে হতে পারে। এদেরকে তো অবশ্যই উত্সাহিত করবো। আর এর জন্য আমরা ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেরণশিপ একাডেমি গড়ে তুলেছি। এর বাইরে আমাদের উদ্ভাবনকে আরও আগ্রাহী করে তুলতে বাংলাদেশকে একটা রিসার্চ ফিল্ড হিসেবে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরা প্রয়োজন।’
বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে পলক বলেন, ‘আমরা এখন সারা বিশ্বের মধ্যে ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্টে ৩৬তম হয়েছি এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেতো আমরা সেরা।’ নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের এডুকেশন পলিসি আছে, উইম্যান পলিসি আছে, আইসিটি পলিসি আছে, এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে আমাদের এখন উদ্ভাবনের জন্য পলিসি করা জরুরি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন কারো যদি মেধা, সৃজনশীলতা এবং একটা উদ্ভাবনী মন থাকে সে কিন্তু প্রকৃত নেতৃত্ব দিতে পারবে। কিন্তু আমাদের উদ্ভাবনের জন্য কোনো পলিসি নাই। এর জন্যই উদ্ভাবন পলিসি আমাদের তৈরি করতে হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনডিপির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি। উল্লেখ্য, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এই প্রোগ্রামের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।