‘ড্যাফোডিল ইলেকটেল কার্নিভাল ২০১৯’
- বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক
শিক্ষার্থীদের ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স মেধার বিকাশ ও উন্নয়ন ঘটাতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ানিয়ারিং ডিপর্টামেন্ট এর যৌথ আয়োজনে আজ শনিবার ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া স্থায়ী ক্যাপাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ড্যাফোডিল ইলেক টেল কার্নিভাল ২০১৯’। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান প্রধান অতিথি হিসেবে সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা মিলনায়তনে এ কার্নিভালের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস হোসনে আরা বেগম ও এনার্জি প্যাকের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার রেজওয়ানুল কবির। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাাবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এম সামছুল আলম, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক,স্থায়ী খ্যাম্পাসের ডীন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল ও ড্যাফোডিল ইলেক টেল কার্ণিভাল ২০১৯ এর আহ্বায়ক ও প্রকৌশল অনুষদের সহযোগী ডীন প্রফেসর ড. এ কে এম ফজলুল হক।
দিনব্যাপী এ কার্নিভালে ছিল আইডয়া কনটেস্ট, প্রজেক্ট প্রদর্শনী, জব ফেয়ার, ইন্ডাস্ট্রি ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সাইন্স অলিম্পিয়াড, প্যানেল ডিসকাশান, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি পৃষ্ঠপোষকতা কওে হাইটেক পার্ক অথরিটি এবং এনার্জি প্যাক লিমিটেড।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। আর জ্ঞান হচ্ছে নদীর স্রোতের মতো, চর্চা করলে জ্ঞান বেড়ে যায়, চর্চা না করলে মৃত্যু হয়। তাই জ্ঞানের চর্চা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ সময় ইলেকটেল কার্নিভালের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের কার্নিভাল শিক্ষার্থীদের মেধাচর্চাকে উসকে দিতে ভূমিকা রাখবে। তাই এ ধরনের আয়োজন বেশি বেশি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, তোমাদের জন্মই হয়েছে তিরিশ লাখ শহীদের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। তোমাদের কাঁধে অনেক দায়িত্ব। সবচেয়ে বড় দায়িত্ব, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রযুক্তির হাত ধরেই এগিয়ে যেতে হবে বলে অভিমত প্রদান করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে তোমরা নিজেদেরকে আপডেট করো। সারা পৃথিবীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো। তোমাদের হাত ধরেই পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে স্থান করে নেবে বাংলাদেশ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস হোসনে আরা বেগম বলেন, এখন সময়ে এসেছে হাতে-কলমে শেখার। শুধু পাঠ্য পুস্তকের জ্ঞান দিয়ে এই পৃথিবীতে আর টিকে থাকা যাবে না। তাই ক্লাসরুমের বাইরে এবং পাঠ্য পুস্তুকের বাইরে এসে শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হবে। এ ধরনের কার্নিভাল শিক্ষার্থীদেরকে নতুন নতুন জ্ঞান অন্বেষনে উদ্বুদ্ধ করবে। এ সময় তিনি আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান এ ধরনের কার্নিভালের আয়োজন করার জন্য।
এনার্জি প্যাকের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার রেজওয়ানুল কবির বলেন, শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি দিয়ে খুব বেশিদূও অগ্রসর হওয়া যায় না। জীবনে সফল হতে হলে নতুন জ্ঞান ও নতুন চিন্তার অন্বেষণ করতে হয়। এসময় তিনি বিল গেটসের উদাহরণ দিয়ে বলেন, বিল গেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করতে পারেননি। তিনি ড্রপ আউট ছিলেন। কিন্তু তিনি পৃথিবীকে দিয়েছেন নতুন জ্ঞান। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে আহ্বান জানান নতুন নতুন উদ্ভাবনের প্রতি আগ্রহী হতে।