গর্ভাবস্থায় মাছ খেলে বুদ্ধি বাড়ে সন্তানের
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : যেসব মা গর্ভাবস্থায় প্রতি সপ্তাহে মাছ খান, তাদের সন্তানরা বুদ্ধিদীপ্ত হয়। এসব শিশুর মস্তিষ্ক তুলনামূলক উন্নত হয়। বার্সেলোনায় পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় গর্ভাবস্থায় নিয়মিত মাছ খাওয়ার উপকারিতার বিষয়টি উঠে এসেছে। সংবাদ : ল্যাটিনোসহেলথ।
গবেষণায় দুই হাজার মাকে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস থেকে তাদের সন্তানের পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, এসব মায়ের মধ্যে যাদের গর্ভাবস্থায় খাদ্যতালিকায় মাছ বেশি ছিল, তাদের সন্তানরা অন্যদের তুলনায় বেশি বুদ্ধিদীপ্ত। পাশাপাশি সপ্তাহে ৬০০ গ্রাম মাছ গ্রহণকারী মায়েদের মারকারি বা পারদের মতো বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো ঝুঁকি দেখা যায়নি।
গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন সেন্টার ফর রিসার্চ ইন এনভায়রনমেন্টাল এপিডেমিওলজির গবেষক জর্ডি জালবেজ। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক ই-মেইলে তিনি জানান, সামুদ্রিক খাবার প্রয়োজনীয় খনিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কিন্তু একই সঙ্গে এতে যুক্ত থাকে পারদ, যা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে পরিচিত। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে টুনা ও মারলিনে পারদের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় এসব মাছ গ্রহণে বিরত থাকা উচিত। তবে শিং, মাগুর, তেলাপিয়া, স্যামন, ইলিশ, কাঁকড়া বা ঝিনুক খেতে কোনো বাধা নেই।
সামুদ্রিক খাবারে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনার কারণে সাধারণত গর্ভাবস্থায় খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি মাছ রাখাকে অনুৎসাহিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন গর্ভবতী নারীদের খাদ্যতালিকায় সপ্তাহে ৩৪০ গ্রাম মাছ রাখার সুপারিশ করে। ইউরোপে এর পরিমাণ কিছুটা বেশি। ইউরোপীয় খাদ্যনিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ১৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত মাছ সপ্তাহের খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দেয়। জালবেজের মতে, সংস্থাগুলোর বর্তমান সুপারিশকৃত পরিমাণ ঠিক আছে। যদিও এ গবেষণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এ-বিষয়ক কড়াকড়ি কমিয়ে আনা জরুরি।
এদিকে জাপানে পরিচালিত এ-বিষয়ক অন্য এক গবেষণায়ও একই ধরনের ফলাফল উঠে এসেছে। মেডিকেল নিউজ টুডেতে প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদনে গর্ভকালীন সময়ে মাছ গ্রহণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওমেগা-৬ ও ওমেগা-৩ নামের উপাদান মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, যাদের মায়েদের মাছসমৃদ্ধ খাদ্য দেয়া হয়নি, তাদের মস্তিষ্কের আকার ছোট। আর এরা খুব দুশ্চিন্তাপ্রবণও হয়ে থাকে। ওমেগাসমৃদ্ধ খাবারের অভাবে এদের মানসিক গঠনও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
যেসব মা গর্ভাবস্থায় প্রতি সপ্তাহে মাছ খান, তাদের সন্তানরা বুদ্ধিদীপ্ত হয়। এসব শিশুর মস্তিষ্ক তুলনামূলক উন্নত হয়। বার্সেলোনায় পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় গর্ভাবস্থায় নিয়মিত মাছ খাওয়ার উপকারিতার বিষয়টি উঠে এসেছে। খবর ল্যাটিনোসহেলথ।
গবেষণায় দুই হাজার মাকে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস থেকে তাদের সন্তানের পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, এসব মায়ের মধ্যে যাদের গর্ভাবস্থায় খাদ্যতালিকায় মাছ বেশি ছিল, তাদের সন্তানরা অন্যদের তুলনায় বেশি বুদ্ধিদীপ্ত। পাশাপাশি সপ্তাহে ৬০০ গ্রাম মাছ গ্রহণকারী মায়েদের মারকারি বা পারদের মতো বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো ঝুঁকি দেখা যায়নি।
গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন সেন্টার ফর রিসার্চ ইন এনভায়রনমেন্টাল এপিডেমিওলজির গবেষক জর্ডি জালবেজ। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক ই-মেইলে তিনি জানান, সামুদ্রিক খাবার প্রয়োজনীয় খনিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কিন্তু একই সঙ্গে এতে যুক্ত থাকে পারদ, যা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে পরিচিত। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে টুনা ও মারলিনে পারদের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় এসব মাছ গ্রহণে বিরত থাকা উচিত। তবে শিং, মাগুর, তেলাপিয়া, স্যামন, ইলিশ, কাঁকড়া বা ঝিনুক খেতে কোনো বাধা নেই।
সামুদ্রিক খাবারে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনার কারণে সাধারণত গর্ভাবস্থায় খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি মাছ রাখাকে অনুৎসাহিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন গর্ভবতী নারীদের খাদ্যতালিকায় সপ্তাহে ৩৪০ গ্রাম মাছ রাখার সুপারিশ করে। ইউরোপে এর পরিমাণ কিছুটা বেশি। ইউরোপীয় খাদ্যনিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ১৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত মাছ সপ্তাহের খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দেয়। জালবেজের মতে, সংস্থাগুলোর বর্তমান সুপারিশকৃত পরিমাণ ঠিক আছে। যদিও এ গবেষণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এ-বিষয়ক কড়াকড়ি কমিয়ে আনা জরুরি।
এদিকে জাপানে পরিচালিত এ-বিষয়ক অন্য এক গবেষণায়ও একই ধরনের ফলাফল উঠে এসেছে। মেডিকেল নিউজ টুডেতে প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদনে গর্ভকালীন সময়ে মাছ গ্রহণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওমেগা-৬ ও ওমেগা-৩ নামের উপাদান মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, যাদের মায়েদের মাছসমৃদ্ধ খাদ্য দেয়া হয়নি, তাদের মস্তিষ্কের আকার ছোট। আর এরা খুব দুশ্চিন্তাপ্রবণও হয়ে থাকে। ওমেগাসমৃদ্ধ খাবারের অভাবে এদের মানসিক গঠনও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।