পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াচ্ছে ‘ভুল গাছ’
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : এতোদিন পর্যন্ত আমরা জেনে আসছি সব ধরণের গাছ পৃথিবীর জন্য উপকারি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে বনভূমির কোনো বিকল্প নেই।
কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। বলছে, ইউরোপে ১৭৫০ সাল থেকে যেসব গাছ জন্মেছে, সেগুলো আসলে বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, বড়, চ্যাপ্টা পাতার গাছের বদলে চিরসবুজ প্রজাতির গাছ বেশি লাগানোর কারণেই জলবায়ুর ওপর এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। পাইন ও স্প্রুসের মতো চিরসবুজ গাছগুলো সাধারণত গাঢ় রঙের হয়। তাই এগুলো ওক এবং ভুজগাছের তুলনায় অনেক বেশি তাপ ধরে রাখে।
ফ্রান্সের জিফ-সুর-ইভেত’র ল্যাবরেটরি অব ক্লাইমেট সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট নতুন গবেষণাটি পরিচালনা করেন ড. কিম নটস ও তার দল। ইউরোপে গত আড়াইশো বছরের বন ব্যবস্থাপনার তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করেন তারা। গবেষণার ফল কিম এক কথায় প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানের সুন্দর ব্যবস্থাপনার বনাঞ্চলগুলোও আগেকার প্রাকৃতিক বনভূমির তুলনায় অনেক কম কার্বন ধরে রাখতে পারে।
অতীতের বনাঞ্চল ছিলো প্রাকৃতিক। স্বাভাবিকভাবে নিজ থেকে সেখানে বিভিন্ন ধরণের গাছপালা জন্মাতো। কিন্তু এখনকার ইউরোপের ৮৫ শতাংশ গাছই মানুষের লাগানো। গত প্রায় দেড়শো বছর ধরে পরিকল্পনা মাফিক এসব বন তৈরি করা হয়েছে। এমন গাছ লাগানো হয়েছে যা দ্রুত বড় হয় এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক, যেমন, স্টস পাইন ও নরওয়ে স্প্রুস।
পরিকল্পনাটি ভালোই ছিলো। কেননা এতে দ্রুত প্রচুর গাছপালা হবে। বেশি গাছ মানে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শোষণ হবে বেশি পরিমাণে, বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণে আসবে, আর বাণিজ্যিকভাবেও সফলতা আসবে।