ব্যাথা পাবে রোবট…!
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক
রোবটরা মানুষের অনেক কাজ করে দিতে পারে। তবু ওরা তো আসলে যন্ত্র। মানুষের মতো আনন্দ-বেদনার অনুভূতি ওদের নেই। এ জন্য তাদের বিপাকেও পড়তে হয়। কেননা, ব্যাপারটা তাদের কাজকর্মে কখনো কখনো বিঘ্ন ঘটায়। শরীরের কোনো অংশ আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারা তাৎক্ষণিক টের পায় না। তাই জার্মানির একদল গবেষক এবার রোবটদের শেখাতে শুরু করেছেন ব্যথা কীভাবে অনুভব করতে হয়।
যন্ত্রকে জৈব অনুভূতি দেওয়ার কাজটা সহজ নয় মোটেও। এ জন্য ওই গবেষকেরা একটি কৃত্রিম স্নায়ুতন্ত্র বানাতে শুরু করেছেন। এটা রোবটকে নিমেষে জানিয়ে দেবে, তার শরীরের কোথায় কী সমস্যা হয়েছে। এতে রোবটের পাশাপাশি মানুষও সুফল পাবে। কারণ, রোবট আচমকা অকেজো হয়ে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
হ্যানোভারের লেইবনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষকেরা রোবটকে জৈব অনুভূতি দেওয়ার এই কাজের প্রেরণা পেয়েছেন মানুষের ব্যথার অনুভূতির প্রক্রিয়া থেকে। তাঁরা যান্ত্রিক হাতের মধ্যে লাগিয়ে দিয়েছেন মানুষের আঙুলের মতো সংবেদী যন্ত্র, যা চাপ ও তাপমাত্রা শনাক্ত করতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় রোবট বিভিন্ন অপরিচিত অবস্থা এবং বিঘ্ন টের পাবে। ফলে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পারবে।
মানুষের স্নায়ুতন্ত্র যেভাবে ব্যথার অনুভূতি মস্তিষ্কে সংকেত আকারে পৌঁছে দেয়, রোবটের কৃত্রিম স্নায়ুতন্ত্রও একইভাবে তার নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে তথ্য পাঠাতে পারবে। ব্যথা হালকা নাকি তীব্র—সেটাও জানাতে পারবে। গবেষক দলের সদস্য জোহানেস কুয়েন বলেন, ‘ব্যথার অনুভূতি এমন একটি ব্যবস্থা, যা আমাদের সুরক্ষা দেয়। আমরা ব্যথার উৎসস্থল ছেড়ে গেলে আঘাতের মাত্রা কমার সম্ভাবনা বাড়ে।’
যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবট বিশেষজ্ঞ ফুমিয়া ইডা বলেন, রোবটকে এমন একটা জটিল বিষয় শেখানো সত্যিই কঠিন কাজ। তবে এটা রোবটদের আরও বুদ্ধিমান যন্ত্রে পরিণত করবে। ফলে তারা আরও বেশি দক্ষতা নিয়ে কাজ করতে পারবে।