ফসলের রোগের সমাধান এখন অ্যাপে
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
ফসলের কোন রোগে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, কোন সমস্যার কী সমাধান—এসব নিয়ে একটি ওয়েবসাইট এবং স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) তৈরি করেছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুকল্প দাস। অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির সহযোগিতায় ডিজিটাল ‘বালাইনাশক নির্দেশিকা বা পেস্টিসাইড প্রেস্ক্রাইবার’ বানিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীসহ কৃষক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কীটনাশক ও পোকামাকড় দমনের তথ্য সহজলভ্য হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং অনুমোদিত বালাইনাশকের তালিকা নিয়ে নিয়মিত একটি প্রকাশনা বের করে। ওই বইয়ের তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে উপস্থাপন করে কাজটি করা হয়েছে। সুকল্প দাস জানান, ধরে নেওয়া যাক কৃষকের ফসল পামরি পোকায় আক্রান্ত হয়েছে। ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে এ পামরি পোকার নাম লেখার সঙ্গে সঙ্গে এটি দমনে কার্যকরী সব বালাইনাশকের গ্রুপের নাম পর্দায় দেখাবে। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণকর্মী পোকার প্রাদুর্ভাব, স্থানীয় বাজারে সহজলভ্যতা বিবেচনা করে যেকোনো একটি গ্রুপে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই গ্রুপের বাজারে আসা সব বাণিজ্যিক বালাইনাশকের নামের তালিকা পাওয়া যাবে। যেকোনো একটি বালাইনাশকে ক্লিক করার সঙ্গেই এর প্রয়োগমাত্রা এবং নিবন্ধন নম্বর জানা যাবে। অর্থাৎ কৃষি সম্প্রসারণকর্মী কৃষকের মাঠে দাঁড়িয়েই তাৎক্ষণিকভাবে কৃষককে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন। নিবন্ধন নম্বর থাকায় ওষুধটি আসল না নকল তাও নিশ্চিত হওয়া যাবে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তৈরি হবে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপত্র। অটোপ্রেসক্রিপশনটি কৃষকের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে দেওয়া যাবে, আর ওয়েব অ্যােপর মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত অটোপ্রেসক্রিপশন মুদ্রণ করেও প্রদান করা যাবে। কৃষকেরা যেকোনো ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে এই সেবা নিতে পারবেন।
সুকল্প দাস জানান, ‘বালাইনাশক নির্দেশিকা’ রয়েছে ওয়েবে (pest2.bengalsols.com)। অ্যাপটি নামানো যাবে গুগল প্লে স্টোর থেকেও।