এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি আবারও পরিবর্তন
শিক্ষা ডেস্ক: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নের নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের পরীক্ষা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহুনির্বাচনী অর্থাৎ এমসিকিউ প্রশ্ন থেকে ১০ নম্বর কমিয়ে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে যোগ করা হবে। সংবাদ ইত্তেফাক ও এনটিভির।
বুধবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০১৬ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা থেকে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর আগে দিতে হবে এবং পরে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এতদিন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার শুরুতে সৃজনশীল এবং এরপর এমসিকিউ অংশের উত্তর দিয়ে আসছিল।এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে ‘এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে’ পরিচালনার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য এবছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় এমসিকিউ বাতিলের কথা ভাবছেন, বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী । তিনি বলেছিলেন, ‘অসৎ উপায়ে এমসিকিউতে ৪০ নম্বর পাওয়া সহজ হয়ে যাচ্ছে। আগামীতে এই পদ্ধতি রাখা হবে কি না তা নিয়ে শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তবে পুরোপুরি বাতিল না করলেও এসএসসিতে প্রায় দুই যুগ ধরে বর্ত্মান বহুনির্বাচনী প্রশ্নে নম্বর কমিয়ে আনা হল। যেসব বিষয়ে ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া হয়, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৭ সাল থেকে সেসব বিষয়ে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। একই ভাবে অন্যান্য বিষয়েও ১০ নম্বর করে এমসিকিউ থেকে কমানো হবে। এমসিকিউ থেকে কমে যাওয়া এই ১০ নম্বর যুক্ত হবে সৃজনশীল প্রশ্নের অংশে।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির ত্রুটি বিচ্যুতি পরিহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সময় বাড়ানো এবং ‘প্রাইভেট বা কোচিংকে’ নিরুৎসাহিত করার জন্য ‘আরও উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি’ খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের এ আলোচনা একেবারেই প্রাথমিক ও ‘ব্রেইন স্টর্মিং’ পর্যায়ে রয়েছে। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা, সেমিনার, কর্মশালার আয়োজন করে সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”
কভার ফটো: কুইন্স উইনিভার্সিটি