আইটির আলো ছড়াচ্ছে ড্যাফোডিলের প্রজেক্ট ‘ক’
- মাইনুল হাসান দুলন
প্রজেক্ট ‘ক’ । ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের একঝাঁক স্বপ্নচারী তরুণদের সম্বনয়ে গড়া একটি স্বেচ্ছাসেবক দল। এই তরুণরা বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন স্কুল কলেজে গিয়ে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষা দেন। তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর এ যুগে কেউ যেন প্রযুক্তিগত জ্ঞান থেকে পিছিয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে-ই কাজ করে যাচ্ছে প্রজেক্ট ‘ক’।
প্রতিবারের মতো এবারও প্রজেক্ট ‘ক’ গত ১৯ মার্চ ভোরে যাত্রা শুরু করে ময়মনসিংহ বিভাগের ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া সাদির উদ্দিন মাস্টার উচ্চ বিদ্যালয়ে। আকাবাঁকা মেঠো পথ পেরিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় স্কুলটিতে পৌছে প্রজেক্ট ‘ক’ টিম। কিন্তু এবার প্রজেক্ট ‘ক’ একাই নয় এই দলে যোগ দিয়েছিলেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক ও স্টুডেন্ট আফেয়ার্সের সহকারী পরিচালক এজাজুর রহমান সজল।
স্কুলটিতে শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল প্রায় ৫৫০।
বড় হল রুম না থাকায় ২টি ভাগে বিভক্ত করে প্রজেক্ট ‘ক’ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি ছাত্রছাত্রী আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে প্রতিটি ক্লাসে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্যগুলো শোনে এবং না জানা সব তথ্যগুলো নোট খাতায় লিপিবদ্ধ করে। টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা ৫টি বিভাগের উপর দেওয়া প্রজেক্ট ‘ক’ এর লেকচারগুলোর মধ্যে ছিল- মাইক্রোসফট অফিসের ব্যবহার, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, কার্যোপযোগী ইন্টারনেটের ব্যবহার সহ আরো অনেক কিছু।
প্রজেক্ট ‘ক’ সম্পর্কে এজাজুর রহমান সজল বলেন, ‘নিজেদের সামান্য যে জ্ঞান আছে সেটা বিতরণ করেও যে অনেক আনন্দ পাওয়া যেতে পারে সেটা প্রজেক্ট ‘ক’ আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে।’
কর্মশালা শেষে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে ৩০ মিনিটের এমসিকিউ পরীক্ষা ও গেমিং সেশনে। তারপর পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে প্রজেক্ট ‘ক’ এর দিনব্যাপী এই কর্মশালার সমাপ্তি ঘটে।
প্রজেক্ট ‘ক’ এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনের অন্যতম পরিচালক তৌফিকুল আলম বলেন, ‘প্রজেক্ট ‘ক’ এর লক্ষ্য বাংলাদেশের ৬৭ জেলায় আইটি শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া। এ নিয়ে প্রতিবছর প্রায় ৩৬০০ শিক্ষার্থী যাদের কোনো কম্পিউটার নেই তাদেরকে আইটি শিক্ষা দিয়ে আসছে প্রজেক্ট ‘ক’। আমরা সেটা অব্যাহত রাখতে চাই।’